জিডিপির বিশাল এই পতন উদ্বেগের; আরও নামতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার, আশঙ্কা রঘুরাম রাজনের

রঘুরাম রাজনের মত, অসংঘটিত ক্ষেত্রের লোকসান এর মধ্যে ধরা হয়নি। তা ধরলে চিত্র আরও ভয়াবহ হবে

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Sep 7, 2020, 06:21 PM IST
জিডিপির বিশাল এই পতন উদ্বেগের; আরও নামতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার, আশঙ্কা রঘুরাম রাজনের
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমান অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি যেভাবে পড়ছে তা গত ২৫ বছরে ঘটেনি। করোনা আবহে এই সঙ্কট মোকাবিলায় ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মোদী। কিন্তু প্যাকেজের অঙ্কটা বিশাল হলেও তা খুব একটা কাজে আসবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।

আরও পড়ুন-উদ্ধবের পর এবার ফোন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী-শরদ পাওয়ারকে, বিদেশ থেকে হুমকি দুই নেতাকে

গত তিন মাসে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমেছে ২৩.৯ শতাংশ। এই সময়েই লকডাউনে ছিল গোটা দেশ। তাই লকডাউন খোলার পর জিডিপি এভাবে আর ধসে যাবে না বলেই মনে করছে কোনও কোনও মহল। কিন্তু রঘুরাম রাজনের মত, অসংঘটিত ক্ষেত্রের লোকসান এর মধ্যে ধরা হয়নি। তা ধরলে চিত্র আরও ভয়াবহ হবে। এরকম এক পরিস্থতিতে পরিকল্পনাকারীদের উচিত বুঝে শুনে খরচ করা।

লিঙ্কড ইন-এর এক নিবন্ধ রাজন লিখেছেন, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি যে ভাবে পড়ে গিয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। ২৩.৯ শতাংশ জিডিপির পতনের মধ্যে অসংঘটিত ক্ষেত্রকে ধরা হয়নি। ইটালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে জিডিপি পড়েছে যথাক্রমে ১২.৪ ও ৯.৫ শতাংশ। ফলে এনিয়ে ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকার যে সাধারণ মানুষকে রেশনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া শুরু করেছে কিংবা ছোট ও মাঝারি শিল্পের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছে তা যথেষ্ঠ নয়। এনিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

করোনা সংক্রমণের আগে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি যে ভালো ছিল এমনটা বলা যায় না। করোনা লকডাউন সেই করুণ অবস্থাকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাজনের অভিমত, মানুষ এখন কম খরচ করছেন। করোনা এখনই দেশ থেকে যাচ্ছে না। ফলে জিডিপির এই করুণ দশা সহজে ঘুঁচবে না।

আরও পড়ুন-'এখনই প্রয়োগের কোনও বিষয় নেই', কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সাফ কথা পার্থর

রাজন আরও লিখেছেন, এই অবস্থা থেকে সরকার দেশের মানুষকে বের করে আনতে না পারলে মানুষকে খাওয়া কম করতে হবে, ছেলেমেয়েদের স্কুল ছাড়িয়ে দিতে হবে, সোনা বন্ধক রাখতে হবে, ইএমআই বাকী পড়বে। এক ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। ভারতের তুলনায় দুনিয়ার অন্য়ান্য করোনার ধাক্কা থেকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। সেই সময় ভারতের সামনে খুলে যাবে রপ্তানির সুযোগ। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

.