যে হোটেলে ভূতের ভয়, ভারতের সেরা 'হন্টেড' হোটেল
হোটেল! এই নামটা শুনলেই প্রথমে মনে আসে নিরাপদ আশ্রয়ের কথা। তারপর চোখের সামনে ভাসে সুন্দর ঘর, নরম বিছানা, বড় বাথরুম ইত্যাদি। কিন্তু ভাবুন তো নরম বিছানায় রাতে ঘুমাছেন হঠাৎ অনুভব করলেন কেউ আপনার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, তখন? এই পরিস্থির সম্মুখীন হতে না চাইলে এক ঝলকে দেখে নিন ভারতে এমন ৭টা হোটেল যেখানে রাত বাড়ার সঙ্গে শুরু হয় ভূতেদের উপদ্রব...
ওয়েব ডেস্ক: হোটেল! এই নামটা শুনলেই প্রথমে মনে আসে নিরাপদ আশ্রয়ের কথা। তারপর চোখের সামনে ভাসে সুন্দর ঘর, নরম বিছানা, বড় বাথরুম ইত্যাদি। কিন্তু ভাবুন তো নরম বিছানায় রাতে ঘুমাছেন হঠাৎ অনুভব করলেন কেউ আপনার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, তখন? এই পরিস্থির সম্মুখীন হতে না চাইলে এক ঝলকে দেখে নিন ভারতে এমন ৭টা হোটেল যেখানে রাত বাড়ার সঙ্গে শুরু হয় ভূতেদের উপদ্রব...
১. ব্রিজ রাজ ভবন প্যালেস, কোটা
একটা ফোর্ট যাকে ৪ যুগ আগে হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের একজন কর্মী এই প্যালেসে ১৩ বছর ধরে বসবাস করতেন। ১৮৫৭ সালে তাঁর পরিবার সহ তাঁকে খুন করা হয়। কোটার রানী তাঁর অশরীরি আত্মাকে দেখতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২. হোটেল স্যাভয়, মুসৌরি
১৯০২ সালে হোটেল নির্মান করা হয়। ১৯১০ সালে হোতেলের করিডোরে গার্নেট ওর্মের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আগাথা ক্রিসচির প্রথম উপন্যাস 'দ্য মিস্টেরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইলস'-এ এই ঘটনার কথা উল্লেখ করা আছে। এমনকি হোটেলের অতিথিরা ওই মহিলার গলার আওয়াজও শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন।
৩. দ্য তাজ মহল প্যালেস হোটেল, মুম্বাই
একজন ফ্রেঞ্চ আর্কিটেক্ট এই হোটেলের নকশা বানান। কিন্তু ১৯০৩ সালে প্রমোদভ্রমণ থেকে ফিরে আসার পর তিনি দেখেন তাঁর নকশা অনুযায়ী হোটেল বানানো হয়নি। তখন তাঁর হৃদয় ভেঙে যায়। তিনি ওই হোটেলের ৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁরই আত্মা এখনও পর্যন্ত ঘুরে বেরায় হোটেলে।
৪. হোটেল ফের্নহিলস প্যালেস, উটি
১৮৪৪ সালে নির্মাণ করা হয় হোটেলটিকে। বলিউড সিনেমা 'রাজ'-এর শ্যুটিং চলাকালীন এই হোটেলে ছিলেন পুরো সিনেমার টিম। একদিন রাতে কোরিওগ্রাফার সরজ খান এবং বেশ কয়েকজন মানুশ শুনতে পান তাঁদের ওপরের তলায় জোরে চেয়ার সরানো হচ্ছে। কিন্তু রিসেপশনে ফোন করতে গেলে দেখেন ফোন ডেড। এই ঘটনার পরে বেশ কিছুদিন বন্ধ করে দেওয়া হয় হোটলটিকে।
৫. রাজ কিরন হোটেল, লোনাভলা
সুন্দর এই হোটেলটিকে ভারতের সব থেকে বড় ভৌতিক হোটেল হিসেবে দাবি করেন অনেকেই। হোটেলের রিশেসনের কর্নারে থাকা একটা ঘরকে ভূতুড়ে ঘর হিসেবে দাবি করে থাকেন।
৬. মর্গান হাউজ ট্যুরিস্ট লজ, কালিম্পং
প্রথমে এই ঘরে জর্জ মর্গান নামে একজন ব্রিটিশ ভদ্রলোক বসবাস করতেন। তাঁর স্ত্রী লেডি মর্গান মারা যাওয়ার পর তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যান। স্ত্রী মারা যাওয়ার আগে থেকেই ওই বাড়িতে অন্য কারোর উপস্থিতি অনুভব করা যেত। এমনকি এখনও সারা হোটেলে হাই হিল জুতো পরা কোনও মহিলার পায়ের শব্দ পাওয়া যায়।
৭. রামোজি ফিল্ম সিটি, হাদরাবাদ
নিজাম সুলতানের যুদ্ধক্ষেত্রের ওপরেই এখনকার রামোজি ফিল্ম সিটি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বেশিরভাগ বলিউড এবং দক্ষিণী ছবির শ্যুটিং করা হয়। বলা হয় রাত বাড়ার সঙ্গে ওই অঞ্চলে সৈনিকদের আত্মার উপদ্রব বাড়তে থাকে।