বিভাজনমূলক গণতন্ত্র না মানলে চলে যান উত্তর কোরিয়া, নিদান মেঘালয়ের রাজ্যপালের

টুইটে বরাবরই চাঁচাছোলা মন্তব্য করতে দেখা যায় মেঘালয়ের রাজ্যপালকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল অসম, ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত। মেঘালয়েও সেই আঁচ পড়েছে। শুক্রবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ জানানো হয়

Edited By: সোমনাথ মিত্র | Updated By: Dec 14, 2019, 11:47 AM IST
বিভাজনমূলক গণতন্ত্র না মানলে চলে যান উত্তর কোরিয়া, নিদান মেঘালয়ের রাজ্যপালের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিস্ফোরক মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। তাঁর স্পষ্ট নিদান, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের উত্তর কোরিয়ায় চলে যাওয়া উচিত। যেখানে গণতন্ত্রের পরিবর্তে শাসক কিম জং উনের অঙ্গুলিহেলনে সরকার চলে।

টুইটে বরাবরই চাঁচাছোলা মন্তব্য করতে দেখা যায় মেঘালয়ের রাজ্যপালকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল অসম, ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত। মেঘালয়েও সেই আঁচ পড়েছে। শুক্রবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ জানানো হয়। পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাধে। রাজ্যপাল এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে টুইটারে জানান, বর্তমান বিতর্কে যে দুটো বিষয় একদমই ভোলার নয়। এক, ধর্মের ভিত্তিতে একসময় দেশ ভাগ হয়। আর এই দেশে বরাবরই গণতন্ত্র বিভাজনমূলক। যাঁরা এটা মানেন না, তাঁদের উত্তর কোরিয়া চলে যাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন- ভারতের উত্তর-পূর্বে বিক্ষোভের জেরে ‘ট্রাভেল অ্যাডভাইজ়রি’ জারি করল ব্রিটেন, আমেরিকা

উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি উত্তর-পূর্ব ভারতের ভূমিপুত্রদের। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে অসম, ত্রিপুরা। নামাতে হয় সেনা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যা নিয়ে আন্তজার্তিক মহলেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বিরোধীদের প্রায়শই ‘পাকিস্তান’ যাওয়ার পরামর্শ দেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। এখন সোশ্যাল মিডিয়া মজা করে বলছে, বিরোধীদের দেশান্তরের জন্য আরও একটি দেশ সংযোজন হল- কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া।

.