জ্বালানির দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনও নির্দেশ দেয়নি কেন্দ্র : ধর্মেন্দ্র প্রধান

২০১০ সালে পেট্রোলের দাম বিনিয়ন্ত্রিত করে ইউপিএ সরকার। ২০১৪ সালে ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রিত করে মোদী সরকার।

Updated By: Apr 13, 2018, 09:15 PM IST
জ্বালানির দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনও নির্দেশ দেয়নি কেন্দ্র : ধর্মেন্দ্র প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের মুখে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ওপর লাগাম টেনেছে কেন্দ্র। লক্ষ্য আসন্ন কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন। খবর ছড়ায়, রাষ্ট্রয়ত্ব তেল সংস্থাগুলিকে তেলের দর আর না বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এই খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, আমরা এই ধরনের কোনও নির্দেশিকা জারি করিনি। তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে গত কয়েক বছর বিশ্ব বাজারে ব্যারেল প্রতি তেলের দর পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এখন ধিরে ধিরে সেই দর আবার উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে তা ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২০১০ সালে পেট্রোলের দাম বিনিয়ন্ত্রিত করে ইউপিএ সরকার। ২০১৪ সালে ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রিত করে মোদী সরকার। সরকারের যুক্তি ছিল, লোকসান রুখতে তেলের দর পর্যালোচনা করবে তেল সংস্থাগুলিই। তার পর থেকে নানা চড়াইউতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তেল সংস্থাগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ বেড়েছে তেলের দর। ২০১৬ সালে ২৭ ডলার থেকে বেড়ে ২০১৮তে তা দাঁড়িয়েছে ৭০ ডলারে।

আরও পড়ুন- তেলের দরে লাগাম পরাল কেন্দ্র, প্রকাশ্যে সরকারি দ্বিচারিতা

তেল সংস্থাগুলির দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে লিটাপিছু ১ টাকা করে লোকসান হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে পর পর মঙ্গলবার যথাক্রমে ৭.৬ শতাংশ ও ৮.৩ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল ও এইচপিসিএল-এর শেয়ারের দর।   

প্রশ্ন উঠছে, অন্য সময় জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে 'নিয়ন্ত্রণ নেই' বলে দায় ঝাড়ে সরকার। তাহলে এক্ষেত্রে কেন হস্তক্ষেপ। বামপন্থী অর্থনীতিবিদদের মতে, পুরোটাই সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। ভোটের মুখে তেলের দরবৃদ্ধিতে লাগাম পরিয়ে সরকার প্রমাণ করল, ইচ্ছা করলে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আগেও হস্তক্ষেপ করতে পারত তারা। 

.