অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে যা রটেছে, তা ঠিক নয়; ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র
মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়, বরং মত প্রকাশ অবিতর্কিত করতেই এই পন্থাবলম্বন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এটা কি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ? অনেকটা তেমনই মনে করা হচ্ছিল। এবং সেভাবেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল বিভিন্ন মহলে। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের বই লেখার ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতির বিষয়টি যে আসলে তা নয়, এবার তা পরিষ্কার করে দিল কেন্দ্র।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পেনশন নীতিতে সংশোধনী (amendment) এনেছিল কেন্দ্রীয় কর্মী এবং প্রশিক্ষণ বিভাগ (Department of Personnel and Training)। বুধবার এ নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছিল, দেশের নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা বিভাগে (intelligence or security-related organisation) যাঁরা চাকরি করেন বা করেছেন, তাঁরা চাইলেই নিজেদের অভিজ্ঞতার ঝুলি লিখিতভাবে উপুড় করতে পারবেন না। সে রকম করতে হলে আগে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানের অনুমতি (clearance from the head of the organisation) নিতে হবে। তিনি ছাড়পত্র দিলে তবেই তা প্রকাশ করা যাবে। তিনি অনুমতি না দিলে তা প্রকাশ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: চলতি কোভিড-ঢেউ নিয়ে কেন্দ্রের দাবি, চূড়ান্ত খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছে দেশ
তখনই মনে করা হয়েছিল বুঝি দেশের আমলাদের পায়েও এবার শিকল পরিয়ে দিল কেন্দ্র। এ নিয়ে বুধবার সারাদিন সমালোচনার ঝড়ও বয়ে যায়। ঠিক তার পরেই কেন্দ্র এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করল।
কেন্দ্র পরিষ্কার জানাল, Central Civil Services (Pension) Rules, 1972-এর সূত্রে DoPT-র নীতি সংক্রান্ত যে Notification দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে একটা ভুলবোঝাবুঝি ঘটছে। অথচ, বিষয়টিতে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত যে ধোঁয়াশা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল, সেটা পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যেই নোটিসটি দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশিকার একটিই উদ্দেশ্য, দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত (safeguard national interest) করা।
অতীতে Intelligence অথবা Security-related organisations-য়ে কাজ করেছেন এমন ব্যক্তি পরবর্তী কালে কোনও প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে নিজেদের মত ব্যক্ত করতে গিয়ে দেশের সুরক্ষা সংক্রান্ত এমন অনেক কিছু বিষয় আলোচনা করে ফেলেছেন, যা তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরত থাকার সুবাদেই শুধু জানার অধিকার অর্জন করেছিলেন। কিন্তু এই জরুরি দেশীয় তথ্য প্রকাশের হয়তো প্রয়োজন ছিল না। কার্যক্ষেত্রে বিষয়টিতে একটা লাগাম পরানোর ভাবনা থেকেই উক্ত নোটিসটি দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি স্বচ্ছ করাই ছিল উদ্দেশ্য।
এর মানে কখনওই এটা নয় যে, সরকার তার আমলাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে। উল্টে, বিষয়টি বরং আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। যাঁরা তাঁদের কর্মজীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে-লিখতে চান তাঁদের কাছে বিষয়টি সহজ হল। তাঁরা এখন কিছু বলার বা লেখার ক্ষেত্রে তাঁদের অতীত কর্মক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে সেটা কতটা সংবেদনশীল বা আদৌ সংবেদনশীল বিষষয় কিনা, সেই জরুরি আলোচনাটা সেরে ফেলতে পারবেন। এতে অবাঞ্ছিত বিতর্ক তৈরি হবে না।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: অবসরের পর কর্মজীবন নিয়ে খুল্লমখুল্লা স্মৃতিকথা লিখবেন? নিতে হবে মোদী সরকারের অনুমতি