হাসপাতালে মৃত্যু হল গুরুগ্রামে দেহরক্ষীর গুলিতে আহত বিচারকের স্ত্রীর
ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক
নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা কয়েক ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর হার মানলেন গুরুগ্রামে গুলিবিদ্ধ অতিরিক্ত বিচারকের স্ত্রী। রবিবার ভোরে মেদান্ত হাসপাতালে তিনি মারা যান। বিচারকের ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ছেলে ধ্রুবকে নিয়ে মার্কেটিংয়ে গুরুগ্রামের আর্কাডিয়া মলে এসেছিলেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কিষাণ কান্ত শর্মার স্ত্রী ঋতু কান্ত শর্মা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দেহরক্ষী মহিপাল। প্রত্যদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, মার্কেটের সামনেই মহিপাল ধ্রুব ও ঋতুতে গুলি করেন। গুলি করার পর দুজনকে টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টাও করেন। শুধু তাই নয় গুলি করার কথা ফোন করে বিচারককে বলেন বলেও দাবি করেছেন প্রত্যদর্শীরা।
আরও পড়ুন-দেশে ফিরলেন এম জে আকবর, আজই তাঁকে ইস্তফা দিতে বলবেন মোদী!
ময়না তদন্ত দেখা গিয়েছে, ২টি গুলি ঢুকেছে ঋতুর বুকে ও পেটে। ঋ্রুবকে গুলি করার হয় ৩ বার। দুটি গুলি লাগে তার মাথায় ও একটি গিয়ে লাগে তার কাঁধে। গুলি করার পর ঘটনাস্থলে লোক জড়ো হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে পালায় মহিপাল। পুলিস জানিয়েছে, নিকটবর্তী থানায় গিয়েও হামলা চালায় মহিপাল। থানার অফিসাররা ধরার চেষ্টা করলে সেখান থেকেও সে পালায়। তবে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফরিদাবাদ রোড থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
বিচারকের পরিবারকে কেন গুলি করে খুন করার চেষ্টা করলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ডিসিপি গুরুগ্রাম (পূর্ব) জানাচ্ছেন, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বিচারকের পরিবারের অভব্য আচরণের জন্যই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে মহিপাল।
আরও পড়ুন-Zee ২৪ ঘণ্টা মহাপুজো সেরা বারোয়ারি প্রথম: কাশী বোস লেন
পুলিসের জেরায় উঠে এসেছে হরিয়ানা পুলিসের কনস্টেবল মহিপাল গত ২ বছর ওই বিচারকের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি ২ দিনের ছুটি চাইছিলেন। কিন্তু মঞ্জুর করা হচ্ছিল না। বিচারক প্রায়শই তাঁকে বকাবকি করতেন বলেও জেরায় উঠে এসেছে। শনিবারও ওই বিচারকের স্ত্রী তাঁকে গাড়ির মধ্যেই বাকাঝকা করেন বলে মহিপাল জেরায় জানিয়েছেন।