বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ রূপে গণ্য করতে নারাজ দিল্লি হাইকোর্ট
বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিআইএল গ্রহণ করতেই অস্বীকার করল দিল্লি হাইকোর্ট। অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমকে ধর্ষণ বলে মানতে নারাজ আদালত। একই ধরণের একটি আবেদন এর আগে বাতিল করেছিল সুপ্রিমকোর্টও।
ওয়েব ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিআইএল গ্রহণ করতেই অস্বীকার করল দিল্লি হাইকোর্ট। অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমকে ধর্ষণ বলে মানতে নারাজ আদালত। একই ধরণের একটি আবেদন এর আগে বাতিল করেছিল সুপ্রিমকোর্টও।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ১৫ বছরের বেশি বয়সী নিজের স্ত্রীর সঙ্গে, স্ত্রীর ইচ্ছা বিরোধী যৌন সঙ্গম ধর্ষণ নয়। এই দণ্ডবিধিকেই চ্যালেঞ্জ করে একটি পিআইএল দায়ের করেছিল একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মুখ্য বিচারপতি জি রোহিণী ও বিচারপতি আর এস এন্ডলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আবেদনকে নাকচ করে দিয়েছে।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির দাবি ৩৭৫ নম্বর ধারার জেরে এদেশে বহু মহিলাই বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হয়েও সুবিচার পান না। সংস্থাটির অভিযোগ ছিল আই আইন 'অসাংবিধানিক' এবং সমানুধিকারকে লঙ্ঘন করে।
এই পিআইএল অনুযায়ী এই আইনের জেরে বিবাহিত ও অবিবাহিত মহিলাদের অধিকারে ভেদাভেদ তৈরি হচ্ছে। এই আইন যৌন নির্যাতনের হাত থেকে মহিলাদের রক্ষা করার পরিপন্থী বলেও দাবি করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ পৃথিবীর বহু দেশে বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনী ভাবেই গুরুতর অপরাধ রূপে গণ্য করা হয়।