প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশে, হতাহত বহু
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ। প্রায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুই রাজ্যে। হতাহতের সংখ্যা বহু। উত্তরাখণ্ডেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৯জন। জলমগ্ন এলাকায় আটকে রয়েছেন শতাধিক মানুষ। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। বিহারেও শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন।
ব্যুরো রিপোর্ট: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ। প্রায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুই রাজ্যে। হতাহতের সংখ্যা বহু। উত্তরাখণ্ডেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৯জন। জলমগ্ন এলাকায় আটকে রয়েছেন শতাধিক মানুষ। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। বিহারেও শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন।
জলস্তর বাড়ছে কোশী, গণ্ডক, বাগমতী নদীতে। আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে অশনিসঙ্কেত দিয়েছেন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মুখ্যসচিব। শুক্রবার সারারাতের বৃষ্টিতে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। শনিবারও সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে অঝোর ধারায়। প্রবল বৃষ্টিতে পাউরি, দেরাদুন, পিথোরগড়ের বহু জায়গায় ধস নেমেছে। ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। উত্তরাখণ্ডের রাজধানীর রাস্তাঘাট জলমগ্ন।
ঋষিকেশের রামঝুলায় বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে বইছে গঙ্গা। সরকারি হিসেবে পাউরি, কিষণপুর, দেরাদুন, পিথোরগড়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের। পুরালা বইরাগড় গ্রামে আটকে পড়েছিলেন প্রায় আড়াইশো মানুষ। প্রশাসনের তরফে চপার পাঠিয়ে তাঁদের উদ্ধারের বন্দোবস্ত করা হয়। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর এবং উনাতেও প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও প্রচুর। হতাহত হয়েছেন বহু মানুষ। বহু জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। সরকারি হিসেবে প্রায় দুশো জায়গায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, বিহারের বাঘা, গোপালগঞ্জ, মধুবনী, সীতামাঢ়ি, সুপৌল, সহর্ষা, খাগাড়িয়া, দ্বারভাঙা এবং মাধেপুরা জেলার শতাধিক গ্রামও জলমগ্ন। উত্তর বিহারের কোশী, গণ্ডক, কমলা বালান, বাগমতী নদীতে যে ভাবে জলস্তর বাড়ছে তাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মুখ্যসচিব। আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টায় অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। সরকারি হিসেবে কোটি কোটি টাকার শষ্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় বন্ধ পথঘাট। কেন্দ্র এবং রাজ্যর আটটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উপদ্রুত অঞ্চলে। কেন্দ্রের কাছে আরও পাঁচটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতির উপরে চলছে চব্বিশ ঘণ্টার নজরদারি।