কেদারনাথের বিপর্যয়ে দায়ী পর্যটকদের হানিমুন করতে আসা দম্পতিরা, বললেন শঙ্করাচার্য

সমস্ত ধর্মীয় প্রসঙ্গে মন্তব্য করা তাঁর অভ্যাস। শুধু মন্তব্য করা বললে ভুল হবে, বিতর্কিত মন্তব্য করা তাঁর অভ্যাস। তিনি আর কেউ নন, শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী। মহারাষ্ট্রের শনি মন্দিরে এতদিন মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কয়েকদিন আগে মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশ করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। কিন্তু তারপরে শঙ্করাচার্য মন্তব্য করেন, শনি মন্দিরে মেয়েরা প্রবেশ করলে নাকি ধর্ষণ আরও বেড়ে যাবে! এবার তিনি কেদারনাথের বিপর্যয়ের পিছনে কারণ হিসেবে মন্তব্য করেন যে, নবদম্পতিদের মধুচন্দ্রিমার ফলেই ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছিল কেদারনাথে!

Updated By: Apr 13, 2016, 01:53 PM IST
কেদারনাথের বিপর্যয়ে দায়ী পর্যটকদের হানিমুন করতে আসা দম্পতিরা, বললেন শঙ্করাচার্য

ওয়েব ডেস্ক: সমস্ত ধর্মীয় প্রসঙ্গে মন্তব্য করা তাঁর অভ্যাস। শুধু মন্তব্য করা বললে ভুল হবে, বিতর্কিত মন্তব্য করা তাঁর অভ্যাস। তিনি আর কেউ নন, শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী। মহারাষ্ট্রের শনি মন্দিরে এতদিন মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কয়েকদিন আগে মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশ করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। কিন্তু তারপরে শঙ্করাচার্য মন্তব্য করেন, শনি মন্দিরে মেয়েরা প্রবেশ করলে নাকি ধর্ষণ আরও বেড়ে যাবে! এবার তিনি কেদারনাথের বিপর্যয়ের পিছনে কারণ হিসেবে মন্তব্য করেন যে, নবদম্পতিদের মধুচন্দ্রিমার ফলেই ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছিল কেদারনাথে!

২০১৩ সালে কেদারনাথে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়। এই দুর্যোগের কারণ হিসেবে অনেক বিজ্ঞানি অনেক কথা বলেছেন। অনেকে আবার দায়ী করেছেন, পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা প্রচুর হোটেলকে। কিন্তু সেই সমস্ত কারণকে ছাপিয়ে মন্তব্য করলেন শঙ্করাচার্য। তাঁর মতে, অনেক নবদম্পতি হানিমুন করতে কেদারনাথে যান। পিকনিকের নামে ফষ্টি নষ্টি করায় দেবতা ক্রুদ্ধ হয়েছেন। আর তার ফলেই ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে কেদারনাথে। যার ফলে প্রাণ হারাতে হয়েছে প্রচুর মানুষকে। দেবতার স্থানে এখনই যদি এই অপকর্ম বন্ধ না করা হয়, তাহলে ফের বিপর্যয় নেমে আসবে কেদারনাথের ওপর।

শুধুমাত্র শনি মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ কিংবা কেদারনাথের বিপর্যয়ের কারণের ওপর বিতর্কিত মন্তব্য করেই থেমে থাকেননি শঙ্করাচার্য। মহারাষ্ট্রের প্রবল খরার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন যে, চারিদিকে সাঁই বাবার মূর্তি বসানোর জন্যই হনুমান-গনেশ দেবতারা রুষ্ট হয়েছেন। এর ফলই ভোগ করতে হচ্ছে মহারাষ্ট্রের মানুষকে।

.