হুদহুদের দাপট এড়িয়ে প্রাণহানী রুখে 'ম্যান অফ দি ম্যাচ' মৌসম ভবন, বাহবা কোড়াল প্রশাসন

Updated By: Oct 12, 2014, 10:04 PM IST
হুদহুদের দাপট এড়িয়ে প্রাণহানী রুখে 'ম্যান অফ দি ম্যাচ' মৌসম ভবন, বাহবা কোড়াল প্রশাসন
পুরীর সমুদ্র সংলগ্ন এক রাস্তার এমনই এক ছবি পোস্ট করা হয়েছে ডিসকোভার ভূবনেশ্বর নামের এক টুইটার পেজে।

 

ওয়েব ডেস্ক: ক্যাটেগরি ফোর। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। সমুদ্রতটে আছড়ে পড়ল ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগে। অথচ সেই হুদহুদের দাপটে প্রাণহানির সংখ্যা এড়ানো গিয়েছে অনেকটাই।  এই সাফল্যের দাবিদার যদি প্রশাসন হয় তাহলে প্রধান দাবিদার নিঃসন্দেহে দেশের আবহাওয়া দফতর। হ্যাটস অফ টু মৌসম ভবন।

১৯৯৯ সালে ওড়িশার সুপার সাইক্লোনে মৃত্যু হয়েছিল ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। এরপর পারাদ্বীপ, হেলেন, জাল, পাইলিন। একে একে বঙ্গোপসাগরের বহু ঘুর্ণিঝড়ই আছড়ে পড়েছে ওড়িশা উপকূলে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি এড়ানো না গেলেও তাত্পর্যপূর্ণভাবে কমেছে প্রাণ হানির সংখ্যা। ১৯৯৯ সালে সুপার সাইক্লোনে ১৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও গত বছর ঘূর্ণিঝড় পাইলিনে মৃতের সংখ্যা ছিল কুড়িরও কম। দেখা যাচ্ছে হুদহুদের আগে গত একদশকে ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৩৮ জনের।

এই প্রাণহানি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে সবচেয়ে আগে উঠে আসছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের সাফল্যের কথা।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনিক সাফল্য বরাবরই নির্ভর করে ঝড়ের গতি প্রকৃতি আগে থেকে বুঝতে পারার ওপর। আর এখানেই গত এক দশকে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। দেখা গিয়েছে আগের মতো কেবল পূর্বাভাস নির্ভর না থেকে প্রতি মুহূর্তে ঝড়ের গতিপথের ওপর নজর রেখেছেন আবহাওয়াবিদেরা। ফলে প্রতি মূহুর্তেই ঝড়ের অবস্থান এবং ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে গিয়েছে আবাহাওয়া দফতর।

সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এবারের হুদহুদেও অন্ধ্র-ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে আগে থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে এড়ানো গিয়েছে বহু প্রাণহানি। আর নিঃসন্দেহে সেই সাফল্যের দাবিদার দেশের আবহাওয়া  দফতর।

.