হাসপাতালের পরিত্যক্ত জায়গায় মিলল মানুষের হাড়গোড়, তদন্তে পুলিস
বিহারে এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মজফ্ফরপুরেই মৃত্যু হয়েছে ১১৯ জনের। এসকেএমসিএইচ-সহ বিহারের অন্যান্য হাসপাতালগুলির শোচনীয় অবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারে ধারাবাহিক শিশু মৃত্যুর আবহে নয়া ফের বিতর্কে জড়াল নীতীশ কুমারের সরকার। মুজফফরপুরে শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (এসকেএমসিএইচ) পরিত্যক্ত জায়গায় মানুষের বেশ কিছু কঙ্কাল মিলল। যা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে।
বিহারে এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মজফ্ফরপুরেই মৃত্যু হয়েছে ১১৯ জনের। এসকেএমসিএইচ-সহ বিহারের অন্যান্য হাসপাতালগুলির শোচনীয় অবস্থা। এমতাবস্থায় কঙ্কাল মেলায় আরও বিতর্ক তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। শনিবার, পুলিস ও হাসপাতালের একটি যৌথ তদন্তকারীর দল পরিদর্শনে যায় ওই জায়গায়।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর! স্ত্রী ও ২ মাসের শিশু-সহ তিন সন্তানকে খুন করে ধরা দিলেন দিল্লির শিক্ষক
হাসপাতালের তরফে আধিকারিক ডক্টর বিপিন কুমার জানান, ওই জায়গা থেকে মানুষের হাড়গোড় মিলেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য হাসাপাতালের প্রিন্সিপল দেবেন বলে জানান তিনি। কমপক্ষে দু’জনের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালের কেয়ারটেকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর হাসপাতালের পিছনে পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলা আসা হয়। এবং কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে এমন কাজ হয় বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের সুপার এসকে সাহি জানান, ময়না তদন্ত ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে দেহ থাকে। উন্মুক্ত জায়গায় এভাবে দেহ ফেলা রাখা অমানবিক কাজ। এ বিষয়ে তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, হাসপাতালে অজ্ঞাতপরিচয় কোনও দেহ এলে প্রথমে পুলিসে রিপোর্ট করা হয়। এর পর ৭২ ঘণ্টা শবঘরে রাখা হয়। পরিজনের সন্ধান না পাওয়া গেলে ওই দেহকে মাটিতে পুঁতে বা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এগুলির কোনওটাই মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।