আদালতের নির্দেশের পরেও স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসছে বাধা, অভিযোগ হাদিয়ার

বাবা-মার হেফাজত থেকে মুক্তি দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতেও ছাড়পত্র মিলেছে। আদালতের নির্দেশের পরও স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন কেরলের হাদিয়া।

Updated By: Nov 29, 2017, 02:26 PM IST
আদালতের নির্দেশের পরেও স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসছে বাধা, অভিযোগ হাদিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাবা-মার হেফাজত থেকে মুক্তি দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতেও ছাড়পত্র মিলেছে। আদালতের নির্দেশের পরও স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন কেরলের হাদিয়া।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাদিয়া বলেন, স্বামী শাফিন জাহানের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। কিন্তু হস্টেলের প্রিন্সিপাল ও বাবা-মা তাঁকে নানা অছিলায় ক্রমাগত বাধা দিচ্ছেন তাঁকে। 

আরও পড়ুন : প্রথমবার ভারতীয় যুদ্ধবিমানে উঠলেন কোনও বিদেশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী 
তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রতিটি নাগরিকের যে অধিকার রয়েছে, সেটুকুই তিনি দাবি করছেন। এটা কোনও ধর্ম বা জাতপাতের বিষয় নয়। নিজের পছন্দের ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতেই পারেন তিনি। আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিজের স্বাধীনতার দাবি করেছেন। কিন্তু, আদালতের নির্দেশের পরেও স্বামীর সঙ্গে কোনওভাবেই দেখা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন হোমিওপ্যাথির এই ছাত্রী। 
কেরলের শিবরাজ হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশোনা করছেন হাদিয়া। তাঁর হিন্দু নাম নাম অখিলা অশোকান। কিন্তু, তার মাঝেই শাফিন জাহান নামে ওমান ফেরত এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করেন হাদিয়া। যদিও এই মুহূর্তে বাবা-মা ছাড়া আর কারও সঙ্গে হাদিয়াকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন ওই হোস্টেলের প্রিন্সিপ্যাল।
প্রসঙ্গত, হোমিওপ্যাথির ছাত্রী ২৬ বছরের হাদিয়ার সঙ্গে শাফিন জাহানের পরিচয় হয় একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। পরবর্তীতে বিয়ে করেন তাঁরা। যদিও হাদিয়ার বাবা কেএম অশোকানের অভিযোগ, মেয়ের মগজধোলাই করে তাঁকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেছেন শাফিন জাহান। এরপরই কেরল হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। 

 

.