কংগ্রেস চাইলে মোদীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে রাজি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী

আগামী ১৯ মে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ। ওইদিনই ভোট নেওয়া হবে বারাণসীর।

Updated By: Apr 23, 2019, 04:35 PM IST
কংগ্রেস চাইলে মোদীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে রাজি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী

নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতে আর মাত্র সাতদিন। তার পরই শেষ হয়ে যাবে এবারের লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোটগ্রহণের মনোনয়ন পর্ব। সেই শেষ দফায় কি হাইভোল্টেজ লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে ভারতবাসীর! উত্তর রয়েছে কংগ্রেসের কাছেই।

আগামী ১৯ মে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ। ওইদিনই ভোট নেওয়া হবে বারাণসীর। সেখান থেকে গতবারের মতো এবারও লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে কি এবার দেখা যাবে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে!

আরও পড়ুন: নর্থ ওয়েস্ট দিল্লি কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী গায়ক হংসরাজ হংস, ক্ষুব্ধ বিদায়ী সাংসদ উদিত রাজ

কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দাবি উঠেছে অনেক আগে থেকেই। তাঁরা মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কাকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছেন। কর্মী-সমর্থকদের সেই দাবিকে কার্যত মেনে নিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা।

তবে তিনি মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত দলের হাতেই ছেড়েছেন। জানিয়েছেন, দল চাইলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াতে রাজি।

আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা লড়ার জন্য ১.৫ কোটি টাকার প্রস্তাব আইনজীবীকে! নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

সোমবার থেকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা আমেঠি ও রায়বরেলিতে নির্বাচনী প্রচার করছেন। ওই দুই কেন্দ্র কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত। রায়বরেলির সাংসদ তাঁর মা, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। আমেঠির সাংসদ তাঁর ভাই, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

তাঁদের সমর্থনে সেখানে প্রচার করছেন তিনি। মঙ্গলবার সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে সদ্য রাজনীতিতে পা দেওয়া প্রিয়ঙ্কা একথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: জল্পনা উড়িয়ে শেষমেশ বিজেপিতে যোগ দিলেন সানি দেওল

২০১৪ সালেও বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রের লড়াই হাই ভোল্টেজ হয়েছিল। সেবার বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

কেজরিওয়ালকে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৮৪ ভোটে হারিয়ে জিতেছিলেন মোদী। এবার লড়াইয়ে কেজরিওয়াল নেই। তবে সপা-বসপার মহাজোট রয়েছে। তাদের প্রার্থী শালিনী যাদব। আগেরবার তারা আলাদা-আলাদা লড়াই করেছিল। কিন্তু তাদের মোট প্রাপ্ত ভোট ৯ শতাংশের কিছু বেশি ছিল।

আরও পড়ুন: কপাল ফিরবে শশীর! মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে ভোট প্রদান করলেন কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট প্রার্থী

২০১৪ সালে কংগ্রেস ওই কেন্দ্রে তৃতীয় হয়েছিল। তারা প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবার এখনও কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে এখন অপেক্ষা সেখানে কর্মী-সমর্থকদের দাবি মেনে দিদি প্রিয়ঙ্কাকে লড়াইয়ে নামার অনুমতি দেন কি না!

.