ডিএনএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই ঘরে ফিরবে ঘরের মেয়ে
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। দশ বছর পর অবশেষে নিজের বাড়িতে পা রাখতে চলেছেন মূক ও বধির কিশোরী গীতা। আজ সকালে করাচি থেকে ভারতে ফেরার কথা গীতার। তবে মেয়েকে ফিরে পেতে বিহারের বাসিন্দা গীতার বাবাকে ডিএনএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ডিএনএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বাবার হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়া হবে।
ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। দশ বছর পর অবশেষে নিজের বাড়িতে পা রাখতে চলেছেন মূক ও বধির কিশোরী গীতা। আজ সকালে করাচি থেকে ভারতে ফেরার কথা গীতার। তবে মেয়েকে ফিরে পেতে বিহারের বাসিন্দা গীতার বাবাকে ডিএনএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ডিএনএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বাবার হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়া হবে।
এগারো বছরের মূক ও বধির গীতা অসতর্কভাবে সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করে পাকিস্তানে। সেই থেকেই গীতার ঠিকানা করাচির ইধি ফাউন্ডেশনের এই হোম। দেখতে দেখতে ইধি পরিবারের সদস্যরাই হয়ে ওঠে গীতার সবথেকে আপনজন। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশন বিহারের একটি পরিবারের ছবি তুলে দেয় ইধি ফাউন্ডেশনের হাতে। ছবি দেখে নিজের বাবা, মা ও ভাইবোনদের চিনতে পারে গীতা। সোমবার সকালে ইধি ফাউন্ডেশনের আধিকারিকদের সঙ্গে ভারতে আসবে গীতা। ডিএনএ পরীক্ষায় সফল হলে মেয়েকে ফিরে পাবেন গীতার বাবা।
মেয়ের খোঁজ পেয়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গীতার বাবা জনার্দন মাহাত। ডিএনএ পরীক্ষায় সফল হবেন বলেই আশাবাদী তিনি।
এতবছর একসঙ্গে থাকার পর বিচ্ছেদ। গীতার ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে হোমের সদস্যদের। তবে একইসঙ্গে গীতা বাবা-মাকে ফিরে পাবে এটা ভেবে খুশি তারাও। ঘরের মেয়ের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন বিহারে গীতার পরিবার।