চোরাচালান রুখতে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত ভারতের
জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাণিজ্যের দুটি জায়গা রয়েছে। একটি বারামুলার জেলার উরির সালামাবাদে। অন্যটি রয়েছে পুঞ্চ জেলার ছক্কন-দা-বাগে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যপথ বন্ধ করে দিল ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত বলবত্ করা হয়েছে। বাণিজ্যের নাম করে পাকিস্তানের দিক থেকে অস্ত্রপাচার, মাদক, জালনোট-সহ অন্যান্য চোরাচালান বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে সরকারি তরফে জানা গিয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: থানায় ঢুকে যুবককে চড় ত্রিপুরা কংগ্রেস সভাপতির
জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাণিজ্যের দুটি জায়গা রয়েছে। একটি বারামুলার জেলার উরির সালামাবাদে। অন্যটি রয়েছে পুঞ্চ জেলার ছক্কন-দা-বাগে। নিয়ন্ত্রণরেখার দুই পারের বাসিন্দাদের রোজকার ব্যবহারের জিনিসের কেনাবেচার জন্যই ওই দুটি বাণিজ্যপথ তৈরি করা হয়।
প্রতিসপ্তাহে চারদিন করে এই বেচাকেনা চলত। এর জন্য কোনও শুল্ক দিতে হত না ক্রেতা-বিক্রেতাদের। ফলে এতে দুই পারের বাসিন্দারাই উপকৃত হতেন।
আরও পড়ুন: হিন্দুত্বকে টার্গেট করতেই আমার উপর অত্যাচার চালানো হয়, দাবি সাধ্বী প্রজ্ঞার
কিন্তু পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে ওই এলাকায় ঢুকে দেদার চোরাচালান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। তাছাড়া সেখানে যেসব সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে, তা শুধু এলাকার। বিদেশ সামগ্রী চোরাপথে এনে সেখানে বিক্রি করা হচ্ছিল।
জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক ঘটনার তদন্তে রয়েছে এনআইএ। ওই তদন্তে এই বিষয়গুলি আরও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। তার পরই নিয়ে সরকার নড়েচড়ে বসে। ওই বাণিজ্যপথ খুলে রাখা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আয়কর-সিবিআই তদন্তে নাজেহাল হয়েই বিজেপি অফিসে জুতো-হামলা শক্তির
পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর পাকিস্তানকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয় ভারতের তরফে। এছাড়াও একাধিকভাবে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে পাকিস্তানের উপর। এবার নিয়ন্ত্রণরেখায় বাণিজ্যপথ বন্ধ করে দেওয়া হল।