উন্নয়নে নয় রাজনীতি, ব্রিকস সম্মেলনে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

নিবিড় অর্থনৈতিক সমন্বয় আর বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তজার্তিক আর্থিক মন্দা মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে শুরু হল `ব্রিকস` শীর্ষ সম্মেলন। এদিন সম্মেলনের শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, দ্রুত হারে নগরায়ন হচ্ছে। ফলে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

Updated By: Mar 29, 2012, 01:31 PM IST

নিবিড় অর্থনৈতিক সমন্বয় আর বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তজার্তিক আর্থিক মন্দা মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে শুরু হল `ব্রিকস` শীর্ষ সম্মেলন। এদিন সম্মেলনের শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, দ্রুত হারে নগরায়ন হচ্ছে। ফলে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সন্ত্রাস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, "আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমনে চাই `ব্রিকস` রাষ্ট্রগোষ্ঠীর যৌথ উদ্যোগ"। রাজনৈতিক অস্থিরতা যাতে উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করা নয়াদিল্লির অন্যতম লক্ষ্য বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি গুরুত্ব দেন, শক্তিক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতায়।
ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চিন`কে নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রগোষ্ঠীর চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলেন সাম্প্রতিক ইউরো জোন সঙ্কটের পাশাপাশি ইরান পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলার বিষয়টিও আলোচনার অন্যতম বিষয় হবে বলে সাউথ ব্লক সূত্রে খবর। তাজ প্যালেস হোটেল দু`দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনের শেষে একটি `দিল্লি ঘোষণাপত্র` প্রকাশ করা হবে। সেই ঘোষণাপত্রেই থাকবে ভবিষ্যতের দিশানির্দেশিকা।

ভারতে বসবাসকারী তিব্বতী জনগোষ্ঠীর প্রবল বিক্ষোভের মধ্যেই ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার ভারতে আসেন চিনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ইয়াং জেইচি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেট কাউন্সিলর দাই বিংগুয়ো এসেছেন তাঁর সঙ্গে। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেডভেডেভ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রউফ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাও বুধবারই নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছন।
আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি নয়াদিল্লির তরফে `ব্রিকস`-এর সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে সহজ শর্তে ঋণনীতি চালু ও স্থানীয় মুদ্রাব্যবস্থা কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও ডলার ও ইউরোর মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক মুদ্রাব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত মিলেছে। এই বিষয়গুলি নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।

আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলার পাশাপাশি ব্রিকস সম্মেলনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অলোচ্যবিষয় হতে পারে তেহরান ইস্যু। পরমাণু বিতর্ককে কেন্দ্র করে ইরানের উপর ওয়াশিংটন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির পর তেল আমদানির সমস্যা আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও যথেষ্ট চিন্তায় ব্রিকস-এর পাঁচ সদস্যরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের ২৬ শতাংশ ভূখণ্ড এবং ৪২ শতাংশ জনসংখ্যার অধিকারী ৫ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান তেহরান থেকে তেল আমদানির কূটনৈতিক পন্থা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়েও মত বিনিময় করবেন নয়াদিল্লির শীর্ষ সম্মেলনে।

.