"Modi-র শাসনে, Pak উস্কানির জবাব দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি ভারতের", দাবি আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টে
ওডিএনআই বলেছে যে ২০২০ সালে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি (Delhi) এবং বেইজিংয়ের (Beijing) মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষ গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর।
!["Modi-র শাসনে, Pak উস্কানির জবাব দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি ভারতের", দাবি আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টে "Modi-র শাসনে, Pak উস্কানির জবাব দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি ভারতের", দাবি আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/09/367204-odni-report.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন গোয়েন্দা সম্প্রদায় (American intelligence community) আমেরিকান কংগ্রেসকে (US Congress) জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) অধীনে, ভারত যেকোনও পাকিস্তানি (Pakistan) উস্কানির বিরুদ্ধে সহজে সাড়া দেবে। অর্থাৎ বাস্তব অথবা অনুমানের ভিত্তিতে যেকোনও রকমের উস্কানি যদি পাকিস্তানের তরফে আসে তাহলে ভারত তার নিজের সামরিক শক্তি নিয়ে এর বিরুদ্ধে সারা দেওয়ার সম্ভাবনা অতীতের তুলনায় অনেক বেশি।
ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স-এর অফিস অফ ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ODNI) দ্বারা প্রকাশিত মার্কিন গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের বার্ষিক থ্রেট মূল্যায়ন আরও জানিয়েছে যে "বিতর্কিত সীমান্তে ভারত ও চিন (China) উভয়ের সম্প্রসারিত সামরিক কার্যকলাপ এই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে যা মার্কিন ব্যক্তি ও স্বার্থের প্রতি সরাসরি হুমকি এবং মার্কিন হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।"
এখানে বলা হয়েছে যে "ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সঙ্কট বিশেষ উদ্বেগের কারণ। ঝুঁকি কম হলেও দুটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে সমস্যা বৃদ্ধির ঘটনাপ্রবাহ রয়েছে"।
পাকিস্তানের ভারত-বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, পাকিস্তানের যেকোনও উস্কানিতে, অতীতের তুলনায় ভারত বেশি সারা দেবে। এর সঙ্গে জরিয়ে থাকবে সামরিক সংঘাত। কাশ্মীরে হিংসা অস্থিরতা অথবা ভারতে জঙ্গি হামলার ঘটনা সম্ভাব্য ফ্ল্যাশপয়েন্ট হিসাবে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াবে বলেই মনে করা হয়েছে এই রিপোর্টে।
ওডিএনআই বলেছে যে ২০২০ সালে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি (Delhi) এবং বেইজিংয়ের (Beijing) মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষ গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "আগের সংঘর্ষ প্রমাণ করেছে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) ক্রমাগত কম মাত্রার সংঘর্ষ দ্রুত তার মাত্রা বৃদ্ধিতে সক্ষম"।
প্যাংগং হ্রদ (Pangong lake) এলাকায় হিংসাত্মক সংঘর্ষের পর ভারত ও চিনা সেনাদের মধ্যে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয় এবং উভয় পক্ষই ভারী অস্ত্রশস্ত্র সহ ধীরে ধীরে তাদের সৈন্যসংখ্যা বাড়িয়ে দেয়।
১৫ জুন, ২০২০ তারিখে গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) একটি মারাত্মক সংঘর্ষের পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
তার প্রতিবেদনে, ODNI বলেছে যে বেইজিং ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক মার্কিন-চিন সম্পর্ককে একটি যুগান্তকারী ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের অংশ হিসাবে দেখে। এছাড়াও চিনের উত্থান ঠেকাতে এবং কমিউনিস্ট পার্টির শাসনকে দুর্বল করার জন্য বৃহত্তর মার্কিন প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এর বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক পদক্ষেপকে দেখে।
চিন শক্তি প্রদর্শনের জন্য সমন্বিত, সম্পূর্ণ-সরকারি সরঞ্জাম ব্যবহার করে এবং প্রতিবেশীদের বেইজিংয়ের পছন্দের সঙ্গে একমত হতে বাধ্য করে। এর মধ্যে তার আঞ্চলিক এবং সামুদ্রিক দাবি এবং তাইওয়ানের উপর সার্বভৌমত্বের দাবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: 'NATO যুদ্ধ করবে না Russia-র সঙ্গে, জোটে যোগ দিতে চাই না', দাবি Zalensky-র
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "বেইজিং তাইওয়ানকে তাদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেবে এবং মার্কিন-তাইওয়ানের বর্ধিত যোগাযোগ হিসাবে যা দেখাঁ যাচ্ছে তার প্রতিক্রিয়া জানাবে। আমরা আশা করি যে তাইওান দ্বীপের চারপাশে চিন তার সামরিক তৎপরতা বাড়াতে থাকায় সমস্যা বাড়বে এবং তাইওয়ানের নেতারা দুটি দেশকে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য বেইজিংয়ের চাপকে প্রতিহত করবে।"
চিন তাইওয়ানকে একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসাবে দেখে যার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনর্মিলন করা উচিত বলে তারা মনে করে।
তাইওয়ানের উপর চিনের নিয়ন্ত্রণ সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলির বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করবে। কারণ এর অধিকাংশ উৎপাদন তাইওয়ানেই হয় বলে জানিয়েছে এই রিপোর্ট।