যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ভাঙনের মুখে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন
নেতৃত্ব নিয়ে চলছে চরম বিরোধ। আর তার জেরেই ভাঙনের মুখে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। জন্ম নিতে পারে নতুন জেহাদি সংগঠনও। ধৃত সন্দেহভাজন জাহিদ হোসেনকে জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল কলকাতা পুলিসের হাতে।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের শীর্ষনেতা ইয়াসিন ভটকলকে জেরা করেই প্রথম নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের ইঙ্গিত পান গোয়েন্দারা। দুহাজার আট সালে দিল্লির বাটলা হাউসে এনকাউন্টারের পর থেকেই বিরোধের শুরু। ওই সময়ে আই এমের লাগাম ছিল আজমগড় গোষ্ঠীর হাতে। বাটলা হাউস এনকাউন্টারের পরই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আজমগড় গোষ্ঠীর বড় অংশ। সংগঠনের দুর্দিনে সংগঠকদের বিদেশের মাটিতে আশ্রয় আর অর্থসাহায্য দিতে ব্যর্থ হয় আমির রেজা খান। বিক্ষুব্ধদের নিয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে ভটকল গোষ্ঠী। নতুন নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেয় রিয়াজ ভটকল। কিন্তু কিছুদিনের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। রিয়াজের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে আলাদা দ্বারভাঙ্গা মডিউল তৈরি করে ইয়াসিন ভটকল।
একসময় রিয়াজের কাছে সুরাতে বড় হামলা চালানোর অনুমতি চেয়েছিল ইয়াসিন। কিন্তু মেলেনি। পরবর্তীকালে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় জেহাদি বাহিনী গড়ার পরিকল্পনা নেয় ইয়াসিন। ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের যুবকদের নিয়ে গড়া হবে জেহাদি বাহিনী। বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদ নয়, সশস্ত্র জেহাদ চালাবে এই বাহিনী। মায়ানমারের রোহিঙ্গাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে বাহিনীতে। সোমালিয়ার আল শাবাব বা ইরাকের আইএসআইএসের ধাঁচে হবে এই বাহিনী। নেপালে বসে অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছিল ইয়াসিন
ইয়াসিন গ্রেফতার হওয়ার পরই ধরা পড়তে থাকে দ্বারভাঙ্গা মডিউলের সদস্যরা। পাটনায় নরেন্দ্র মোদীর সভায় হামলার দায়ও চাপে জেলবন্দি ইয়াসিনের ঘাড়ে। যদিও তাংর দাবি, পাটনায় হামলার ছক তার নয়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অন্তদ্বন্দ্ব দ্বারভাঙ্গা মডিউলকে ভাঙতে অনেকটাই সাহায্য করেছে। আর সেই সুযোগেই আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে আমির রেজা খান।