শোকে ও শ্রদ্ধায় সোচ্চার প্রতিবাদ

সূর্যাস্তও অন্ধকার নামিয়ে আনতে পারেনি দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে। হাজার হাজার প্রতিবাদী মোমের আলোয় এখনও উজ্জ্বল ওই চত্বর।

Updated By: Dec 29, 2012, 05:45 PM IST

সূর্যাস্তও অন্ধকার নামিয়ে আনতে পারেনি দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে। হাজার হাজার প্রতিবাদী মোমের আলোয় এখনও উজ্জ্বল ওই চত্বর।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে আজ মেয়েটির দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা। সেই সময় সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে তার জন্য প্রশাসনিক স্তরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী থেকে সংবাদমাধ্যম, প্রত্যেকেই সাধারণ মানুষের কাছে শান্তি পূর্ণ শ্রদ্ধা নিবেদনের আবেদন জানিয়েছেন।
 আজ ভোর রাতেই সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে থেমে গেছে তরুণীর জীবনের লড়াই। কিন্তু থামেনি প্রতিবাদ। দিল্লির এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য এখন সময় আরেক নতুন লড়াইয়ের প্রস্তুতি। গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে গোটা দেশ। কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে দিল্লির যন্তর-মন্তরে প্রতিবাদে সামিল হন বহু মানুষ। ছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও বিক্ষোভ দেখান। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মুনিরকা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা।
গণধর্ষণকাণ্ডে তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল গোটা দেশের মানুষ। উত্তরের জম্মু থেকে দক্ষিণের বেঙ্গালুরু। সর্বত্রই মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে পথে নেমেছেন মানুষ। বেঙ্গালুরুতে মহিলাদের জন্য নিরাপদ সমাজের দাবিতে মোটরবাইক মিছিল হয়। আহমেদাবাদের স্কুলগুলিতে প্রার্থনা সঙ্গীতের সময় নিহত তরুণীর আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। জম্মুতে নিহত তরুণীর আত্মায় শান্তির উদ্দেশে মোমবাতি মিছিল হয়। দেশের অন্যান্য শহরগুলিতেও নিহতের আত্মায় শান্তির উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। একইসঙ্গে দোষীদের চরমতম শাস্তির দাবি উঠেছে।  
নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রতিবাদে দিল্লিতে মৌন মিছিল করলেন মহিলারা। মান্ডি হাউস থেকে যন্তরমন্তর পর্যন্ত এক মৌন মিছিলে ধর্ষণে অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। একইসঙ্গে, মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে সরকারের কাছে। মিছিলে পা মেলাল সিপিআইএম সাংসদ বৃন্দা কারাট ও সীতারাম ইয়েচুরি।

.