ভারতকে তথ্য দিতে অস্বীকার ইতালির
চপার চুক্তি কেলেঙ্কারির তদন্তে পাওয়া তথ্য ভারতকে দিতে অস্বীকার করল ইতালি। গুরুতর এই বিষয়টি নিয়ে পাওয়া যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণ গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হচ্ছে। তাই নয়াদিল্লি তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানালেও তা ফিরিয়ে দিল ইতালির আদালত।
চপার চুক্তি কেলেঙ্কারির তদন্তে পাওয়া তথ্য ভারতকে দিতে অস্বীকার করল ইতালি। গুরুতর এই বিষয়টি নিয়ে পাওয়া যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণ গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হচ্ছে। তাই নয়াদিল্লি তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানালেও তা ফিরিয়ে দিল ইতালির আদালত।
তদন্তের স্বার্থে নয়াদিল্লির অনুরোধ ফিরিয়ে দিল ইতালীয় আদালত। প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্বে থাকা বিচারপতি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে অন্য কারোর সঙ্গেই তদন্ত থেকে পাওয়া তথ্য এখনই ভাগ করে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভারতের করা অনুরোধের সদর্থক জবাব দেওয়া গেল না বলে জানানো হয়েছে। তবে তদন্ত কিছুটা এগোলে, আর এত গোপনীয়তার প্রয়োজন থাকবে না। তখন ভারত নতুন করে তথ্যের জন্য আবদেন করলে তা বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে।
যথাযথ আইন মেনেই ভিভিআইপি চপার চুক্তি হয়েছে বলে দাবি করলেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। ইউপিএর স্বচ্ছতার দাবি তুলে খুরশিদ শনিবার বলেন, "আমার মনে হয় বিষয়টি নিয়ে অযথা রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। এটা জাতীয় বিষয়। সরকার সমস্ত পদ্ধতি মেনেই এই চুক্তি করেছে।" দু`দিনের বাংলাদেশ সফরে এ দিন ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথার সময় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অগস্টাওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি বাতল করা হবে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, "সরকার ইতিমধ্যেই নোটিস জারি করেছে।" তবে বেশ কিছু পদ্ধতি মেনেই যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খুরশিদ। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাষ্ট্রপতিরও। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না তাঁদের অভিযোগের ভিত্তি আছে।" এই ধরনের বিতর্কে রাষ্ট্রপতির মতো সম্মানীয় ব্যক্তির নাম জড়ানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন খুরশিদ।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামারনের আসন্ন ভারত সফরে এর প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় খুরশিদকে। তিনি জানান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরফসূচিতে এই বিষয়টি না থাকলেও আলোচনায় বিষয়টি উঠে আসতে পারে। বলে জানিয়ছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।
তবে খুরশিদ আড়াল করার চেষ্টা করলেও চপার বিতর্কে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার যে বেশ চাপে তা স্পষ্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।