হাথরস গেলেন আপ-এর সাংসদ, ফিরলেন মুখে-চোখে কালো কালি মেখে
কালো কালিতে ভরে যায় তাঁর সাদা কুর্তা।
নিজস্ব প্রতিবেদন - একের পর এক রাজনৈতিক নেতাদের ভিড় লেগে রয়েছে হাথরসে নির্যাতিতা তরুণীর গ্রামে। ১৯ বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যুর পর গ্রামে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না উত্তরপ্রদেশের পুলিস- প্রশাসন। এরপর চাপের মুখে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কথা বলার অনুমতি দেয় যোগী রাজ্যের পুলিস-প্রশাসন। তারপর থেকেই একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে হাজির হচ্ছেন। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ইতিমধ্যে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং। তাঁর সঙ্গে আম আদমি পার্টির অন্য প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক সঞ্জয় সিংয়ের গায়ে ছিটিয়ে দেয়। কালো কালিতে ভরে যায় তাঁর সাদা কুর্তা। সারা গায়ে কালির ছোপ ভর্তি হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার পরই সঞ্জয় সিংয়ের গায়ে কালি ছিটিয়ে দেয় ওই যুবক। যদিও এমন কাণ্ডের পরও আম আদমি পার্টির প্রতিনিধি দলের কর্মসূচি আটকায়নি। তবে এমন নিন্দনীয় ঘটনার পর পুলিসের সামনে ক্ষোভ প্রদর্শন করেন সঞ্জয়ের সিংহ ও আম আদমি পার্টির অন্য প্রতিনিধিরা। কী করে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে সেই যুবক একজন সাংসদের গায়ে কালি ছেটালেন! পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন- হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদের বাহানায় রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র! কড়া ধারায় মামলা যোগীর পুলিসের
সঞ্জয় সিংয়ের গায়ে কালি ছেটানোর ঘটনার নিন্দা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, ''সঞ্জয় সিং একজন নির্ভীক নেতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় বুক উঁচিয়ে কথা বলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীরা চোদ্দটি এফআইআর করেছে। তাঁর দপ্তর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবুও তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি। সঞ্জয় সিংকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এমন পরিকল্পিত আক্রমণ করেও কোনও লাভ নেই। এটা আসলেই উত্তরপ্রদেশের সরকারের পরাজয়। সঞ্জয় সিংকে বলব, আপনি সঠিক রাস্তায় চলেছেন।''