IAF Pilot: বেচতেন ফুচকা, এখন চালান ফাইটার জেট! অধ্যবসায় আর জেদেই স্বপ্নের উড়ান...
করোনার অতিমারীর সময়ে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটে রবিকান্তদের। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধার করা টাকায় দিন কাটাতে হত তাঁদের। কোনওমতে বেঁচে ছিলেন তাঁরা। কারণ, লকডাউনের সময় ফুচকা স্টল চলেনি। বন্ধ ছিল দোকান। ফলে রোজগারও ছিল শূন্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফুচকা বিক্রেতা থেকে সোজা ফাইটার জেটের ককপিটে! এক্কেবারে স্বপ্নের উড়ান। যদিও এই যাত্রাপথটা মোটেই স্বপ্নের মত ছিল না। এর পিছনে রয়েছে অনেক অধ্যবসায় আর ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের গল্প। কথায় আছে, মানুষ চেষ্টা করলে পারে না, এমন অসাধ্য কিছুই নেই। আর সেই চেষ্টায় ভর করেই একজন ফুচকা বিক্রেতা সব বাধা টপকে, সব পরীক্ষা জয় করে আজকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফাইটার জেটের পাইলট হওয়ার পথে। দেশের যুব সম্প্রদায়ের সামনে আক্ষরিক অর্থেই দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন উত্তরপ্রদেশের রবিকান্ত।
২১ বছরের রবিকান্ত প্রথম প্রচেষ্টাতেই পাইলট হওয়ার জন্য এনডিএ-র কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। মনসার দ্বারকাপুরী ধর্মশালার সামনে রাস্তায় সুশীল পানি বাতাসা নামে একটি স্টল রয়েছে। যে স্টল চালান দেবেন্দ্র চৌধুরী। যিনি একজন ফুচকা বিক্রেতা। রবিকান্ত তারই ছেলে। বহু বছর ধরেই রবিকান্ত বাবা দেবেন্দ্রকে ফুচকার স্টলে সাহায্য করে আসছেন। তবে বাবার সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে ফুচকা বিক্রির পাশাপাশি মনের গোপনে আরও একটা স্বপ্নকে সযত্নে লালন করতেন তিনি। আর সেটা হল, একদিন পাইলট হবেন তিনি। ফুচকা বিক্রির সঙ্গে সঙ্গেই পাইলট হওয়ার স্বপ্নের জাল বুনতেন তিনি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলট হওয়ার জন্য সেইমতো প্রস্তুতি নিতেও শুরু করে দেন। অবশেষে, জেদে ভর করে অর্জুনের লক্ষ্যভেদ। সফল হন পরীক্ষায়।
मनासा के लिए गौरव की बात है कि आज मनासा के साधारण से परिवार के #सुशील पानी पतासा वाले आदरणीय देवेन्द्र चौधरी जी के छोटे बेटे Ravikant Choudhary,, को #भारतीय_वायुसेना में #पायलट बनने पर बहुत बहुत बधाई और शुभकामनाएँ,,हमे आप पर गर्व है, pic.twitter.com/N5OeeeKSSN
— Manish Bhati (@manishgbhati) December 12, 2022
ভারতীয় বিমানবাহিনীতে পাইলট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন রবিকান্ত। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। প্রসঙ্গত, করোনার অতিমারীর সময়ে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটে রবিকান্তদের। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধার করা টাকায় দিন কাটাতে হত তাঁদের। কোনওমতে বেঁচে ছিলেন তাঁরা। কারণ, লকডাউনের সময় ফুচকা স্টল চলেনি। বন্ধ ছিল দোকান। ফলে রোজগারও ছিল শূন্য। তবে শত বাধাও রবিকান্তকে তাঁর স্বপ্নপূরণের পথ থেকে টলাতে পারেনি। খুব শিগগিরই রবিকান্ত ভারতীয় বিমানবাহিনীতে পাইলট পদের প্রশিক্ষণে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত, শুধু রবিকান্ত নন, অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক টিভি মেকানিকের মেয়ে সানিয়া মির্জাও। ভারতীয় বিমানবাহিনীতে ফাইটার পাইলট হওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনিও। সানিয়া দেশের প্রথম মুসলিম মেয়ে এবং রাজ্যের প্রথম আইএএফ পাইলট হবেন। এনডিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই যোগ্যতা অর্জন করেন সানিয়া।
আরও পড়ুন, Indigo: 'আমি কর্মী, আপনার চাকর নই', ইন্ডিগো বিমানসেবিকার কড়া উত্তর ভাইরাল!
'বউ চাই, পাত্রী খুঁজে দিন', বিয়ের পোশাকে পোস্টার হাতে পাত্রের দল! কেন জানেন?
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)