দিল্লির জামা মসজিদ কি পাকিস্তানে? সেখানে হলেও প্রতিবাদ করা যাবে, CAA নিয়ে বললেন বিচারক
ভীম সেনা সুপ্রিমোর জামিনের বিরোধিতা করে প্রথম থেকেই কড়া সওয়াল শুরু করেন সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া উস্কানিমূলক পোস্ট করেন রাবন। তাঁর পোস্ট আদলতে পড়ুতে শুরু করেন সরকারি আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডিসেম্বরে দিল্লির জামা মসজিদের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভীম সেনা সুপ্রিমো চন্দ্রশেখর আজ়াদ ওরফে রাবন। মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আবেদনে চেয়ে শুনানি হয় দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে। এ দিন দিল্লি পুলিসকে কার্যত ভর্তসনা করে বিচারক বলেন, প্রতিবাদ করার অধিকার সব নাগরিকের রয়েছে। চন্দ্রশেখরের গ্রেফতার নিয়ে বিচারক বলেন, “আপনারা (দিল্লি পুলিস) এমন ব্যবহার করছেন, যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে। আর যদি পাকিস্তানেই হয়, তাহলে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারে। কারণ পাকিস্তান এক সময় অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল।”
উল্লেখ্য গত ২১ ডিসেম্বর জুম্মা নমাজের দিন দিল্লির জামা মসজিদে প্রবেশ করে বিক্ষোভ দেখান চন্দ্রশেখর আজ়াদ। সংবিধানের রেপ্লিকা হাতে বিক্ষোভ করেন তিনি। মসজিদে বিক্ষোভ প্রদর্শনে বিধি নিষেধ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু প্রথমে পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালালেও, পরে ধরা দেন চন্দ্রশেখর আজাদ।
আরও পড়ুন- হাত পড়ল আসল জায়গায়! জেএনইউকাণ্ডের তদন্তে নজর এবার পড়ুয়াদের ২ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে
ভীম সেনা সুপ্রিমোর জামিনের বিরোধিতা করে প্রথম থেকেই কড়া সওয়াল শুরু করেন সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া উস্কানিমূলক পোস্ট করেন রাবন। তাঁর পোস্ট আদলতে পড়ুতে শুরু করেন সরকারি আইনজীবী। যখন তিনি বলতে শুরু করেন, জামা মসজিদে ধরনা প্রদর্শনে যোগ দেন চন্দ্রশেখর আজাদ, তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বিচারক কামিনি লাউ বলেন, ধরনায় যোগ গিয়ে কী ভুল করেছে? প্রতিবাদ করাতে কী দোষ? প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার আছে প্রতিবাদ করার। এরপর আরও কড়া ভাষায় বিচারকের ভর্তসনা, হিংসা কোথায় হয়েছে? এই পোস্ট গুলির মধ্যে কী ভুল রয়েছে? সংবিধানের কোথায় বলা আছে প্রতিবাদ করা যাবে না? এরপর বিচারক জানিয়ে দেন, চন্দ্রশেখর আজাদের কোনও পোস্টই অসংবিধানিক নয়।