মহাজাগতিক হার্ডলস টপকে লালগ্রহের কক্ষপথে ইসরোর মঙ্গলযান
ছ-ছটা মাসের অভ্যেস। নিঁখুত স্কিলে একটার পর একটা হার্ডলস টপকে শেষ পর্যন্ত গোলপোস্টের এক্কেবারে কাছে পৌছে গেছে সে। কি ভাবছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপে কোনো খেলোয়ারের গোল করার গল্প? না,ফুটবলের মরশুমে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের গোল করার গল্প এটা। এ মাসে সবচেয়ে শক্ত পথ পার করে মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়ল মঙ্গলযান।
ছ-ছটা মাসের অভ্যেস। নিঁখুত স্কিলে একটার পর একটা হার্ডলস টপকে শেষ পর্যন্ত গোলপোস্টের এক্কেবারে কাছে পৌছে গেছে সে। কি ভাবছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপে কোনো খেলোয়ারের গোল করার গল্প? না,ফুটবলের মরশুমে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের গোল করার গল্প এটা। এ মাসে সবচেয়ে শক্ত পথ পার করে মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়ল মঙ্গলযান।
পাঁচই নভেম্বর দুপুর দুটো বেজে আটত্রিশ মিনিটে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। মহাকাশ গবেষণায় নতুন মাইল ফলক ছুঁয়েছিল ইসরো। মঙ্গলে পাড়ি দিয়েছিল মঙ্গলযান। আমেরিকা, রাশিয়া,ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পর এই পথে পা রেখেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।পয়লা ডিসেম্বর লালগ্রহে অভিযানের পথে আরও একধাপ এগোল মঙ্গলযান।
এখনও পর্যন্ত সবকিছু চলছে পরিকল্পনা মাফিক। নীলগ্রহের মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটিয়ে লালগ্রহের দিকে ছুটে চলেছে মঙ্গল যান। ন-মাস ধরে চলবে এই যাত্রা। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে
মঙ্গলকে ঘিরে পাক খেতে শুরু করবে ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহ।
লালগ্রহ নিয়ে হাজারো কৌতুহলের উত্তর মেলার শুরু তখনই। এই কয়েকমাস তাই শুধুই প্রহর গোনা। মার্স অরবিটার মিশন সফল করতে খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর রাখছে ইসরো। চিন, জাপানের মঙ্গলযাত্রার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সেই বিরল কৃতিত্ব অর্জনের দিকে এবার জেট গতিতে ছুটে চলেছে ইসরো।