খলনায়কের অপরাধ থেকে মুন্নাভাইয়ের জেল: সম্পূর্ণ ক্যালেন্ডার

শেষ পর্যন্ত জেলেই যেতে হল সঞ্জয় দত্তকে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ মুম্বইয়ের দুপুরে মুম্বইয়ের বিশেষ টাডা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সঞ্জয়। পড়ুন ঘটনাপ্রবাহ-

Updated By: May 16, 2013, 03:50 PM IST

শেষ পর্যন্ত জেলেই যেতে হল সঞ্জয় দত্তকে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ মুম্বইয়ের দুপুরে মুম্বইয়ের বিশেষ টাডা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সঞ্জয়। পড়ুন
ঘটনাপ্রবাহ-
১৬ মে ২০১৩- মুম্বইয়ের টাডা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সঞ্জয় দত্ত।
১৪ মে ২০১৩- বিভিন্ন জঙ্গী গোষ্ঠী ক্রমাগত তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এই অভিযোগে টাডা আদালতের বিচারক জিএ সানাপের কাছে দক্ষিণ মুম্বইয়ের বিশেষ
আদালতের বদলে পুনের ইয়েরওয়াদা জেলে সরাসরি আত্মসমর্পণের অনুমতি চাইলেন সঞ্জুবাবা।
১০ মে ২০১৩- সাজা মকুবের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে।
১৭ এপ্রিল ২০১৩- আত্মসমর্পণের জন্য সঞ্জয়কে আরও ৪ সপ্তাহের সময় দিল আদালত।
১৫ এপ্রিল ২০১৩- আত্মসপমর্পণের জন্য আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চাইলেন সঞ্জয় দত্ত।
২৮ মার্চ ২০১৩- শীর্ষ আদালতের সাজা ঘোষণার পর প্রথমবারের জন্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন সঞ্জয়। সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, সাজা মকুবের আর্জি
জানাবেন না। যথাসময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।
২৬ মার্চ ২০১৩- সঞ্জয়ের সাজা মকুবের আর্জি জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমর সিং, জয়া প্রদা, মার্কণ্ডেও কাটজু। বিরোধিতায় অনড় শিবসেনা।
২১ মার্চ ২০১৩- সঞ্জয়কে ৫ বছরের কারাদণ্ড শোনাল শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যেই ১৮ মাস জেলে কাটানোর কারণে সাজার মেয়াদ কমিয়ে সাড়ে তিন মাস করা হয়।
টুইটারে সঞ্জয়ের পাশে দাঁড়াল গোটা বলিউড।

ইতিহাস কী বলছে--
১২ মার্চ ১৯৯৩- পরপর ১৩টি বিস্ফোরণ কেঁপে উঠল মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তি। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ২৫৭ জন, আহত হন ৭১৩ জন মানুষ।
১৯ এপ্রিল ১৯৯৩- গ্রেফতার হলেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত।
২৬ এপ্রিল ১৯৯৩- মুম্বইয়ের বিশেশ টাডা আদালতের কাছে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন জানালেন সঞ্জয় দত্ত। জবানবন্দির প্রথম অংশ রেকর্ড করার পর তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেয় আদালত।
২৮ এপ্রিল-সঞ্জয়ের জবানবন্দির দ্বিতীয় অংশ রেকর্ড করল টাডা আদালত।
৩ মে- আইনি হেফাজতে পাঠানো হল সঞ্জয়কে।
৫ মে- বম্বে হাইকোর্টের কাছে আবেদন করলেন সঞ্জয়। টাডা আদালতের চার্জশিট পেশের সময় পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিন পেলেন খলনায়ক।
৪ নভেম্বর- মুম্বই হামলার সব অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ। ফের গ্রেফতার হলেন সঞ্জয়।
১৯ জুন ১৯৯৪-জামিনের আবেদন জানালেন সঞ্জয়।
৪ জুলাই-জামিনের আবেদন খারিজ।
২৩ সেপ্টেম্বর-শীর্ষ আদালতেও জামিনের আবেদন খারিজ।
১৬ অক্টোবর ১৯৯৫- বিচার শেষ হওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়ের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর শীর্ষ আদালতের।
২৮ নভেম্বর ২০০৬- অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত সঞ্জয় দত্ত। মুম্বই হামলায় ব্যবহৃত ৯ মিমি পিস্তল ও একে-৫৬ রাইফেল রাখার অপরাধে টাডা আদালতে অভিযুক্ত সঞ্জয়।
৩১ জুলাই ২০০৭- সঞ্জয়কে ৬ বছরের কারাদণ্ড শোনায় টাডা আদালত।
অগাস্ট ২০০৭- টাডা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন সঞ্জয়।
নভেম্বর ২০০৭- সঞ্জয়ের জামিন মঞ্জপর করে শীর্ষ আদালত।
১ নভেম্বর ২০১১- সুপ্রিম কোর্টে সঞ্জয় সহ একশ জন অভিযুক্তর আবেদনের শুনানি শুরু।
২৯ অগাস্ট ২০১২- নতুন করে আবেদনের শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে।
২১ মার্চ ২০১৩- সঞ্জয়কে সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট। সাজার মেয়াদ ৬ বছর থেকে ৫ বছরে নামিয়ে আনল সুপ্রিম কোর্ট।

.