কাশ্মীর উপত্যকা থেকে আফসপা প্রত্যাহারে নারাজ ভারতীয় সেনা

জম্মু-কাশ্মীর থেকে বহু বিতর্কিত আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (আফসপা) বাতিল বা আংশিকভাবে প্রত্যাহার এমনকি লঘুকরণের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা করল ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর উপত্যকায় নয়া সরকার গঠনে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষিতে পিডিপি যতই আফসপা নিয়ে তাদের অবস্থানে অনড় থাকুক না কেন, সেনার তরফ থেকে সাফ জানানো হল আফসপা প্রত্যাহারে তারা বিন্দুমাত্র রাজি নয়।

Updated By: Feb 19, 2015, 10:14 AM IST
 কাশ্মীর উপত্যকা থেকে আফসপা প্রত্যাহারে নারাজ ভারতীয় সেনা

শ্রীনগর: জম্মু-কাশ্মীর থেকে বহু বিতর্কিত আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (আফসপা) বাতিল বা আংশিকভাবে প্রত্যাহার এমনকি লঘুকরণের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা করল ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর উপত্যকায় নয়া সরকার গঠনে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষিতে পিডিপি যতই আফসপা নিয়ে তাদের অবস্থানে অনড় থাকুক না কেন, সেনার তরফ থেকে সাফ জানানো হল আফসপা প্রত্যাহারে তারা বিন্দুমাত্র রাজি নয়।

কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল পিডিপি ও ন্যাশনল কনফারেন্সের মত রাজনৈতিক দল গুলির সঙ্গেই সারা দেশ জুড়েই বহু মানবাধিকার সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীর থেকে আফসপা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। যদিও সেনার দাবি মোদী সরকারকে সাফ জানানো হয়েছে জঙ্গি 'উপদ্রুত' কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলা ঠেকাতে আফসপা ছাড়া উপায় নেই।

এই বিষয়ে সেনার অবস্থানের বিন্দুমাত্র কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই অ্যাক্টের জেরে জম্মু কাশ্মীরে সেনা ইচ্ছামত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। এই আইন সেনাকে প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষাও দেয়। সেনার যুক্তি কাশ্মীরের মত 'প্রতিকূল' পরিবেশে, যেখানে যত্র তত্র পাকিস্তান জঙ্গি হানার ফাঁদ পেতে রাখে, সেখান থেকে আফসপা তুলে নিলে সামগ্রিকভাবে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত ভারতের মাটিতে অন্তত ৪৪টি পাক জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যার মধ্যে ১৭-১৮টি দিনরাত জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে।

এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন ''বিধানসভা নির্বাচনের পর জম্মু-কাশ্মীরে হিংসার প্রবণতা কমেছে। কিন্তু সেখানে কোনও বড় সড় জঙ্গি হানার সম্ভাবনা একেবারেই নেই, যতক্ষণ না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর উপত্যকা থেকে আফসতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কোনও অর্থ নেই। সরকারকে এক্ষেত্রে ধীরে চল নীতি নিয়েই চলতে হবে।''

তবে আফসপার অপব্যবহার নিয়ে বহুদিন ধরেই কাশ্মীরের আমজনতা সরব। বহু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সেনা বিরোধী ক্ষোভ ভয়াবহ হিংসার রূপ নিয়েছে। শুধু কাশ্মীরেই নয়। মণিপুরেও সেনার বিরুদ্ধে বারবার আফসার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ  উঠেছে এই অ্যাক্ট ব্যবহার করে সেনার স্বেচ্ছাচারিতার। ইরম শর্মিলা চানুর অনশনও সেনার দৃষ্টিভঙ্গিতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আনতে পারেনি। সম্পূর্ণ দায়ভার সেনার উপর ছেরে দিয়ে ইউপিএ সরকারের  কেন্দ্রীয় সরকারের মত নীরব। মোদী সরকারও। আফসপার সেকশন ফোর ও সেভেন পরিবর্তন করে এই অ্যাক্টকে অন্তত কিছুটা মানবিক করার যে প্রস্তাব এসেছিল সেনা কিন্তু সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করেনি।

 

.