ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নয়, প্রস্তাব ভার্মা কমিটির
তিন সদস্যের বিচারপতি জে এস ভার্মা কমিটি বুধবার ধর্ষণ বিরোধী আইনের ব্যাপক পরিবর্তন চাইলেও ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করল। তার বদলে গণধর্ষণের জন্য ন্যুনতম ২০ বছর এবং ধর্ষণ ও খুনের ক্ষেত্রে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের সুপারিশ জানিয়েছে এই কমিটি।
তিন সদস্যের বিচারপতি জে এস ভার্মা কমিটি বুধবার ধর্ষণ বিরোধী আইনের ব্যাপক পরিবর্তন চাইলেও ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করল। তার বদলে গণধর্ষণের জন্য ন্যুনতম ২০ বছর এবং ধর্ষণ ও খুনের ক্ষেত্রে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের সুপারিশ জানিয়েছে এই কমিটি।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক তরুণীর গণধর্ষণকে কেন্দ্র করে সারা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল। দেশ জোড়া প্রতিবাদের জেরে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জে এস ভার্মার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। গতকাল এই কমিটির কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৬৩০ পাতার রিপোর্ট পেশ করেছে।
নাবালক অপরাধের ক্ষেত্রে বয়সের সীমা কমিয়ে এনে নতুন যে আইনের দাবি উঠেছিল ভার্মা কমিটির রিপোর্টে তারও বিরোধিতা করা হয়েছে। এর সঙ্গেই ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে রাসয়ানিক ভাবে যৌন ক্ষমতা হরণেও সম্মতি জানায়নি এই কমিটি।
শুধুমাত্র শাস্তির বিধান না দিয়ে ধর্ষণ সহ বিবিধ যৌন নিগ্রহ রোধের চেষ্টা অনেক বেশি জরুরি বলে ভার্মা কমিটি জানিয়েছে। যে কোনও যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত অপরাধের দ্রুত বিচার এবং অপরাধীদের শাস্তি প্রদান প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি ভার্মা। এর সঙ্গেই বর্তমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না বলেও সমালোচনা করেন তিনি।
পুলিস, মিলিটারি বা সরকারী যে সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা যৌননিগ্রহের সঙ্গে জড়িত তাদের ক্ষেত্রে আইনের কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ জানিয়েছে ভার্মা কমিটি। এর সঙ্গেই যে সব অঞ্চলে আফস্পা চালু আছে সেখানে উর্দির আড়ালে থাকা ধর্ষকদেরও সাধারণ ফৌজদারি আইনের আওতাভুক্ত করার প্রস্তাবও করা হয়েছে এই কমিটির পক্ষ থেকে।