তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ তুলছে বিজেপি, স্পষ্ট করলেন কৈলাস
বিজেপিতে যোগদান করলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবারের পর বুধবার। আরও এক তৃণমূল বিধায়ককে গেরুয়া শিবিরে টানলেন মুকুল রায়। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে প্রাথমিক সদস্যপদ নিলেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেছিলেন, সাত দফায় তৃণমূলে ভাঙন ধরানো হবে। এদিন কি দ্বিতীয় দফা? মুকুল রায় জানালেন, এটা প্রথম দফার সম্প্রসারণ।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন,''বাংলায় আতঙ্কের রাজনীতি চলছে। তৃণমূলের মধ্যেই দানা বেঁধেছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। মানুষের দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাংলায় শান্তি আনবেন নরেন্দ্র মোদী''। দলে সকলকেই স্বাগত জানানো হবে বলেও জানিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতার না আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে কৈলাসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ভরসা নেই মমতার। সে জন্য ছুঁতো খুঁজছেন।
মঙ্গলবার তিন বিধায়ককে দলে নেওয়ার পর কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেছিলেন, বাংলায় ভোটের মতো সাত দফায় চলবে যোগদান পর্ব। বলেছিলেন, ''সাত দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সেভাবেই সাত দফায় চলবে যোগদানের কর্মসূচি। আজ প্রথম দফা। ধীরে ধীরে মমতার স্বৈরতন্ত্র থেকে বেরিয়ে সবাই বিজেপিতে আসবেন। তবে বেছে বেছে লোক নেব''। এদিন কি দ্বিতীয় দফা? মুকুল রায়ের কথায়,''এটা প্রথম দফার সম্প্রসারণ''।
মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দলবদল করানো হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই অভিযোগ নস্যাত্ করে মুকুলের দাবি, সকলেই স্বেচ্ছায় এসেছেন। আগামী দিনে নতুনরা দল ছেড়ে যাবেন না।
তুষারকান্তি কংগ্রেসের বিধায়ক বলে দাবি করেছে তৃণমূল। মুকুল বলেন,''নদিয়া জেলার তৃণমূলের সভাপতি কে? শান্তিপুরের বিধায়ক কে? তুষারকান্তি কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন''।
বুধবার বিজেপিতে যোগদান করেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। একইসঙ্গে যুব তৃণমূল ও জেলার এক নেতা যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে।
মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দেন বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। তাঁকে দিন কয়েক আগে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। বীজপুরের বিধায়কের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বিষ্ণুপুরের তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও হেমতাবাদের সিপিএম বিধায়ক দেবেন্দ্র রায়। এরইসঙ্গে নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভার ৬৩জন কাউন্সিলর দলবদল করেছেন।
আরও পড়ুন- লাশ নিয়ে কলকাতায় আসতেন, তাপসীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করেছেন মমতাই: দিলীপ