এফডিআই প্রশ্নে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াল বিরোধীরা
খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার বিতর্কের সমাধান করতে আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে সকাল সাড়ে ন`টায় হবে এই বৈঠক।
খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার বিতর্কের সমাধান করতে বুধবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে সকাল সাড়ে ন`টায় হবে এই বৈঠক। সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আপাতত সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেলে ১০০ শতাংশ এবং মাল্টিব্র্যান্ড খুচরো ব্যবসায় ৫১ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদনের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বিরোধী শিবিরের সম্মিলিত প্রতিরোধ এবং ডিএমকে, তৃণমূলের মতো জোট শরিকদের প্রবল আপত্তির মুখে সাময়িক ভাবে পিছু হঠলেও এফডিআই সংক্রান্ত নীতির প্রশ্নে সরকার যে পূর্বঘোষিত অবস্থান থেকে সরে আসছে না, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে।
এই পরিস্থিতিতে এদিন এফডিআই ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়েছেন প্রকাশ কারাট। সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, স্থগিত নয়, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাতিল করুক সরকার।
গত কয়েকদিন ধরেই খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার নয়া কেন্দ্রীয় উদ্যোগ ঘিরে উত্তাল ছিল সংসদ। বামেদের পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এমনকী ডিএমকে, তৃণমূলের মতো ইউপিএ শরিকও মনমোহন সরকারের নয়া পদক্ষেপ নিয়ে কড়া আপত্তি তুলেছে। শেষ পর্যন্ত সংসদ সচল রাখার স্বার্থে এ ব্যাপারে কার্যত আপস করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
কারাটের বক্তব্যে স্পষ্ট, কেন্দ্রের উপর এই ইস্যুতে কোনও অবস্থাতেই চাপ শিথিল করবে না বামেরা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদনের প্রশ্নে ইউপিএ সরকারের এই অন্তর্বিরোধের কথা তুলে ধরেছেন অরুণ জেটলিও। বিজেপির রাজ্যসভার নেতার দাবি, ইউপিএ জোটের বিভিন্ন অকংগ্রেসি শরিকদল এমনকী কংগ্রেসের অন্দরেও এফডিআই প্রশ্নে প্রবল আপত্তি রয়েছে। আর তাই ঘর বাঁচাতেই সাময়িক ভাবে পিছু হঠতে হয়েছে কেন্দ্রকে।