Covid 19: বড় বিপদের সংকেত কেরালায়! ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১১৫
Covid 19: দেশে ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোন ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। পরিস্থিতি বিচার করে গতকাল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো দেশে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ওইসব দেশে ফিরে এসেছে করোনা বিধিনিষেধ। এবার ভারতের সামনেও বড় বিপদের সংকেত দিচ্ছে কেরালা। দেশের এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এবার রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেরালায় করোনা আক্রান্ত হলেন ১১৫ জন। এনিয়ে রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন ১৭৪৯ জন।
আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী খাড়গে! বৈঠকে নাম প্রস্তাব মমতার
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সকাল আটট পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২ জন। তার মধ্যে ১১৫ জনই কেরালার। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোনও মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় যতজন করোনা রোগী করেনামুক্ত হয়েছেন তার সংখ্যা ১১২।
উল্লেখ্য, দেশে ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোন ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। পরিস্থিতি বিচার করে গতকাল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। সেখানে বা হয়েছে ইন্ফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের ক্ষেত্রে কড়া নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি যতটা সম্ভব করোনা পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে আরটিপিসিআর টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
করেনার যে প্রজাতিটি এখন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে তা হল JN 1 । সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 কী? জানা যাচ্ছে, সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 হচ্ছে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টেরই বংশধর। যে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টকে নাম দেওয়া হয়েছে পিরোলা। এখন পিরোলা বা BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টের থেকে কোথায় আলাদা সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1? সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এর স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটাই অতিরিক্ত মিউটেশন থাকে। যেখানে পিরোলার স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন থাকে। এখন এই Sars-CoV-2 এ স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। কারণ এই স্পাইক প্রোটিনই মানব কোষের রিসেপটরকে আকৃষ্ট করে ও ভাইরাসকে শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়। তবে সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এর উপসর্গ বা সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে এখনও উদ্বেগের কিছু পাওয়া যায়নি। কারণ পিরোলার মিউটেশন বেশি হওয়ায় তার সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। তবে তা নিয়েও অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ওদিকে WHO জানিয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই একবার কোভিড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মানব শরীর থেকে স্বাভাবিকভাবে নিঃসৃত সিরাম-ই পিরোলা ও সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-কে প্রতিহত করবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)