Kumarghat Ulta Rath Yatra Accident: কাঠের বদলে লোহার রথই কুমারঘাটে ডেকে আনল বিপদ! ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
রথের উচ্চতা ও যাত্রাপথ সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় সাবধানতা নেওয়া হয়নি। ১৩৩ কিলো ভোল্টেজের ওভারহেড তারের সংস্পর্শে আসা মাত্রই রথের ধাতব শরীর বিদ্যুতবাহী হয়ে ওঠে। রথ টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উলটো রথের দিন বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ত্রিপুরার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০। আহত প্রায় ১৫ জন। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও আছে। উলটো রথে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটনার পিছনে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ইসকন কর্তৃপক্ষের দিকেই। অভিযোগ, যেখানে রথ তৈরি হওয়ার কথা কাঠ দিয়ে, সেখানে লোহা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল রথ।
যারফলে সেই রথের চূড়া যখন হাইটেনশন ওভারহেড তারের সংস্পর্শে আসে, তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। ১৩৩ কিলো ভোল্টেজের ওভারহেড তারের সংস্পর্শে আসা মাত্রই রথের ধাতব শরীর বিদ্যুতবাহী হয়ে ওঠে। যা ডেকে আনে মর্মান্তিক পরিণতি। আনন্দ মুহূর্তে বদলে যায় বিষাদে। অভিযোগ, রথের উচ্চতা ও যাত্রাপথ সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় সাবধানতা নেওয়া হয়নি। গোটা ঘটনায় ইসকন কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না বলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছে মানুষ।
ওদিকে এই ঘটনায় টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপর রাতের দিকে টুইট করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'এই দুর্ঘটনায় যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারালেন, তাঁদের সবার জন্য সান্ত্বনা। উলটো রথযাত্রায় কুমারঘাটে এই দুর্ঘটনা বড়ই বেদনাদায়ক। আহতরা তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন। দুর্ঘটনাগ্রস্থদের পাশে আছে স্থানীয় প্রশাসন। সবরকমভাবে সাহায্য করবে তারা।'
এরপরই মোদী জানান, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আর আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও। নিহতদের পরিবার পিছু ৪ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও।
ওদিকে যাদের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের জন্য আড়াই লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য। আর যাদের শরীরের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পুড়েছে, তাঁদের জন্য ৭৪ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। প্রসঙ্গত, উলটো রথের দিন মাসির বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। ত্রিপুরার কুমারঘাটে রথ টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন, Delhi High Court: বীর্য না মিললেও, পেনিট্রেশন মানেই ধর্ষণ : হাইকোর্ট