করুণানিধি-তিন মন্ত্রীর বৈঠক ব্যর্থ, শ্রীলঙ্কা সমস্যার সূত্র অধরাই
তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, এ কে অ্যান্টনি এবং গুলাম নবি আজাদের চেষ্টাতেও সমাধান সূত্র মিলল না। একই সঙ্গে আরও জটিল হল তামিল ভাবাবেগ নিয়ে প্রাদেশিক রাজনীতি ও ইউপিএর জোট সমীকরণ। নয়াদিল্লি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান না নিলে, ইউপিএ ছাড়ার হুমকি দিয়েছে ডিএমকে। জোট সঙ্কট সামাল দিতে আজ কংগ্রেসের তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তামিলনাড়ু গিয়ে ডিএমকে প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন। তবে তাঁদের বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি বলে সূত্রে খবর।
তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, এ কে অ্যান্টনি এবং গুলাম নবি আজাদের চেষ্টাতেও সমাধান সূত্র মিলল না। একই সঙ্গে আরও জটিল হল তামিল ভাবাবেগ নিয়ে প্রাদেশিক রাজনীতি ও ইউপিএর জোট সমীকরণ। নয়াদিল্লি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান না নিলে, ইউপিএ ছাড়ার হুমকি দিয়েছে ডিএমকে। জোট সঙ্কট সামাল দিতে আজ কংগ্রেসের তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তামিলনাড়ু গিয়ে ডিএমকে প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন। তবে তাঁদের বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি বলে সূত্রে খবর।
কারণ, তামিল ভাবাবেগ এবং ভোটের কথা মাথায় রেখে ডিএমকে এখন মরিয়া। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে আমেরিকা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যে প্রস্তাব আনবে, তা আরও কঠোর করার জন্য, ভারত যাতে সংশোধনী প্রস্তাব আনে, সেই দাবিতে অনড় করুণানিধি। কেন্দ্র দাবি না মানলে, ইউপিএ ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন ডিএমকে প্রধান। তৃণমূল বেরিয়ে যাওয়ার পর, এই মুহূর্তে ইউপিএর প্রধান শরিক ডিএমকে। তারা সরে গেলে পরিস্থিতি যে ঘোরাল হবে, তা ভালই উপলব্ধি করছে কংগ্রেস। কারণ সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির সমর্থন প্রতি পায়ে শর্তাধীন এবং সেখানে জোটের প্রতি দায়বদ্ধতা খুবই কম। এই পরিস্থিতিতে করুণানিধিকে মানাতে, সোমবার তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, এ কে অ্যান্টনি এবং গুলাম নবি আজাদকে তামিলনাড়ু পাঠানো হয়। ডিএমকে সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কিন্তু সেই বৈঠেকে করুণানিধিকে সম্মত করতে ব্যর্থ হন তাঁরা।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে ভারত কী অবস্থান নেবে, করুণানিধির সঙ্গে তিন মন্ত্রীর আলোচনার পরই তা ঠিক হবে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, তামিল ভাবাবেগের ক্ষীর যাতে ডিএমকে একা খেতে না পারে, তার জন্য তত্পর হয়েছে প্রতিপক্ষ এআইএডিএমকে। সোমবার দলীয় নেত্রী জয়ললিতা প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে সাহসী, কড়া এবং ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিক ভারত।