পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে বামেদের বিক্ষোভ

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় এনডিএ-র ডাকা ভারত বন্‍‍ধের মধ্যেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন করল চার বামদল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ, মিছিল, ধর্নায় সামিল হন বাম নেতা কর্মীরা।

Updated By: May 31, 2012, 08:16 PM IST

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় এনডিএ-র ডাকা ভারত বন্‍‍ধের মধ্যেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালন করল চার বামদল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ, মিছিল, ধর্নায় সামিল হন বাম নেতা কর্মীরা। দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গ্রেফতার হন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা এ বি বর্ধন ও ডি রাজাকে। ত্রিপুরায় সিপিআইএমের ডাকা ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট ছিল সর্বাত্মক। একদিকে এনডিএ-র ডাকে ভারত বন্‍‍ধ। তারই মধ্যে পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় বামদের প্রতিবাদ দিবসকে ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। দিল্লি থেকে হায়দরাবাদ, ত্রিপুরা থেকে পটনা, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ অবস্থান ও মিছিল করেন বাম নেতা কর্মীরা।
 
রাজধানী দিল্লিতে সকালেই শুরু হয় বামেদের বিক্ষোভ কর্মসূচি। দিল্লি গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গ্রেফতার করা হয় সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট ও পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরিকে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় সিপিআই নেতা এবি বর্ধন, ডি রাজাকেও। তাদের দরিয়াগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাম নেতাদের অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা মানুষের ওপর পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁরা অবিলম্বে পেট্রোলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
 
দিল্লির আশপাশের শিল্পাঞ্চলেও বিক্ষোভ, ধর্না হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় চাক্কা জ্যাম করেন বাম কর্মী সমর্থকেরা।
 
দফায় দফায় বিক্ষোভ, অবস্থান, মিছিলে উত্তপ্ত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশও। হায়দরাবাদে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করেন সিপিআইএম ও সিপিআইয়ের রাজ্য নেতৃত্ব। দুই দলেরই শীর্ষ নেতা ও কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। বিশাখাপত্তনমেও বিক্ষোভ মিছিল করে বামেরা।
 
এই একই ছবি দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পাটনা থেকে সিমলা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ অবস্থান করেন বাম কর্মীরা। বহু জায়গায় তাঁরা প্রতিবাদ মিছিলও করেছেন।
 
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সিপিআইএম। সেই বন্‍‍ধের প্রভাব ছিল সর্বাত্মক। রাস্তায় যান চলাচল ছিল প্রায় বন্ধ। দোকান বাজারের পাশাপাশি সরকারি দফতর, স্কুল, কলেজ, বেসরকারি সংস্থা, প্রায় সবই বন্ধ ছিল। আগরতলা স্টেশনেও এদিন ট্রেন চলাচল করেনি।
 

.