লাখ লাখ পঙ্গপাল এবার এগোচ্ছে দিল্লির দিকে, সাবাড় করছে ক্ষেতের ফসল

২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হলুদ রঙের পঙ্গপালের দল বংশবিস্তার করেছিল। এবার সেই অঞ্চল থেকেই গোলাপী রঙের পঙ্গপাল পাকিস্তানের সীমানা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে।

Updated By: May 24, 2020, 03:35 PM IST
লাখ লাখ পঙ্গপাল এবার এগোচ্ছে দিল্লির দিকে, সাবাড় করছে ক্ষেতের ফসল

নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনা, আমফান, আর এবার নতুন ঝামলা। পঙ্গপাল। কয়েক লাখ পঙ্গপাল যে ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে সে খবর আগেই ছিল। পাকিস্তানের সীমান্ত অতিক্রম করে সেই সব পঙ্গপালের দল রাজস্থানে প্রবেশ করেছিল। সেখানে চাষীদের অর্ধেক ক্ষেতের ফসল নষ্ট করেছে এই পঙ্গপালের দল। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল সাবাড় করে দিয়েছে এই পঙ্গপালের দল। এবার সেগুলি এগোচ্ছে দিল্লি—হরিয়ানার দিকে। চাষীরা ইতিমধ্যে ভীত—সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন। একে তো করোনার জেরে লকডাউনের জন্য মহাসমস্যায় পড়েছেন চাষীরা। ফসলের ন্যায্য দাম পাননি। তার মধ্যে এই নতুন বিপদ হাজির।

যোধপুরের পঙ্গপাল সতর্কতা সংস্থার (এলডব্লিউও) উপ—পরিচালক কেএল গুরজার জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হলুদ রঙের পঙ্গপালের দল বংশবিস্তার করেছিল। এবার সেই অঞ্চল থেকেই গোলাপী রঙের পঙ্গপাল পাকিস্তানের সীমানা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে। ইতিমধ্যে রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসল সাবাড় করেছে। রাজস্থানের প্রশাসন অবশ্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কম হয়েছে। নতুন তুলো বা চিনাবাদাম সাবাড় করেছে পঙ্গপালের দল। মরশুমের আরও অনেক অর্থকরী ফসলও নষ্ট হয়েছে। রাজস্থানেই এই পঙ্গপালের দলকে রোধ করার চেষ্টা চলছে। তবুও পঙ্গপালের দলের অনেকটাই দিল্লি, হরিয়ানার দিকে উড়ে যাচ্ছে। এখনই রোধ করা না গেলে দিল্লি, হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন— লাদাখে কয়েকজন জওয়ানকে আটক করে চিন! সংবাদমাধ্যমের খবর উড়িয়ে দিল সেনা

২০১৯ সালেও একবার পঙ্গপালের দল ভারতে হানা দিয়েছিল। সেবারও চাষীদের অনেক টাকার ফসল নষ্ট হয়েচিল। তবে জানা যাচ্ছে, এবারের দলটি গতবারের থেকে তিন গুণ বড়। তাই ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি। যদিও দিল্লি, হরিয়ানার চাষীরা শেষবার কবে পঙ্গপালের হানা দেখেছেন তা মনে করতে পারছেন না। গত বছর রাজস্থানের ১২টি ৬ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করেছিল পঙ্গপালের দল। এবার সেখানে ৬০০ ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় কীটনাশক ছড়ানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ড্রোন চেয়েছে। যাতে বেশি জায়গায় নজরদারি চালানো যায়। 

.