রেল টিকিটে কালোবাজারি নিয়ে উত্তাল লোকসভা
বাদল অধিবেশনের শুরু থকেই অসম প্রশ্নে উত্তাল সংসদ। এবার রেলের টিকিটের কালোবাজারি ইস্যুতে উত্তাল হল লোকসভা। বৃহস্পতিবার সাংসদদের প্রশ্নবাণের মুখে পড়েন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। সাফাই দেওযার চেষ্টাও করেন সাধ্যমত। কিন্তু বারেবারেই হই হট্টগোলে বাধা পড়ে তাঁর বক্তব্য।
বাদল অধিবেশনের শুরু থকেই অসম প্রশ্নে উত্তাল সংসদ। এবার রেলের টিকিটের কালোবাজারি ইস্যুতে উত্তাল হল লোকসভা। বৃহস্পতিবার সাংসদদের প্রশ্নবাণের মুখে পড়েন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। সাফাই দেওযার চেষ্টাও করেন সাধ্যমত। কিন্তু বারেবারেই হই হট্টগোলে বাধা পড়ে তাঁর বক্তব্য। সাংসদদের সমালোচনার মুখে রেলমন্ত্রীর আশ্বাস রেলে শীঘ্রই চালু হবে টিকিট অন ডিম্যান্ড পরিষেবা। দালালরাজের দৌরাত্ম্য দমনেও রেল যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বলেই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
রেলের টিকিটে কালোবাজারির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগে সরব সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রার অনেক আগেও ওয়েটিং লিস্টের টিকিট মেলে। অথচ যাত্রার ঠিক আগে দালালরা কনফার্ম টিকিটের ব্যবস্থা করে দেয়। এমন অভিযোগও নতুন নয়। বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগে উত্তাল হয় লোকসভা। আইআরসিটিসির পুরো সাইটই দালালরা ব্লক করে রাখে বলেও অভিযোগ জানান সাংসদরা। জবাব দিতে উঠে নির্দিষ্ট উত্তরের বদলে বিভিন্ন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে থাকেন রেলমন্ত্রী। হট্টগোল শুরু হয় নিম্নকক্ষে। সাংসদদের তুমুল ক্ষোভের মুখে রেলমন্ত্রী জানান, দালালরাজ দমনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে রেল।
রেলের টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগ এবং সময়মতো টিকিট না মেলা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, চাহিদা এবং যোগানে অনেক ফারাক রয়েছে। সেই ফারাক মোকাবিলায় নতুন নতুন ট্রেন চালু করছে রেল। ফের হট্টগোল শুরু হয় লোকসভায়। এবার রেলমন্ত্রী জানান শীঘ্রই টিকিট অন ডিম্যান্ড পরিষেবা চালু করছে রেল।
কালোবাজারি মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রেলমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন সাংসদরা। দালালরাজ নিয়ন্ত্রণে রেল কীভাবে সচেষ্ট। তথ্য দিয়ে তা বোঝানোর চেষ্টা করেন রেল প্রতিমন্ত্রী। দালালরাজের দৌরাত্ম্যের জন্য যাত্রীদেরই দায়ী করেন রেল প্রতিমন্ত্রী। দালালরাজের দৌরাত্ম্যে আরপিএফ, জিআরপির বড়সড় ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান কংগ্রেস সাংসদ সঞ্জয় নিরুপম। রেলমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও মুকুল রায় অধিকাংশ সময়টাই কলকাতায় কাটান বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ফের সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মুকুল রায়কে। সেই অস্বস্তিকর প্রশ্ন যদিও সযত্নে এড়িয়ে যান রেলমন্ত্রী।