মারাঠিদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে উত্তাল মহারাষ্ট্র, বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরী
মারাঠা ক্রান্তি সেনা মহারাষ্ট্রে বনধ ডাকার পাশাপাশি মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকায় বনধ ডেকে দেয় সকল মারাঠা সমাজ
নিজস্ব প্রতিবেদন: চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণের দাবিতে একাধিক মারাঠি সংগঠনের ডাকা বনধে গোলমাল ছড়াচ্ছে মুম্বই সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। ট্রেন, হাইওয়ে অবরোধ করছে বনধ সমর্থনকারীরা। মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকায় কোনও কোনও জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিভিন্ন জায়গায় স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Mumbai: Workers of #MarathaKrantiMorcha block Eastern Expressway in Chembur during their agitation for #MarathaReservation pic.twitter.com/5faqGPoYfs
— ANI (@ANI) July 25, 2018
আরও পড়ুন-পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন? সেনা পাহারায় রায় দিচ্ছে পাকিস্তান
মারাঠা ক্রান্তি সেনা মহারাষ্ট্রে বনধ ডাকার পাশাপাশি মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকায় বনধ ডেকে দেয় সকল মারাঠা সমাজ। নভি মুম্বই ও পানভেলে বনধের জোরাল প্রভাব পড়েছে।
The Maratha quota stir turned violent after clashes broke out between two groups in Udgir in Latur district
Read @ANI Story | https://t.co/DHwCSJUVgN pic.twitter.com/Cj0pwRcYHW
— ANI Digital (@ani_digital) July 25, 2018
আন্দোলনকারীরা সাতসকালেই চেম্বুরে মুম্বইগামী ইস্টার্ন হাইওয়ে অবরোধ করে দেয়। থানের গোখেল রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় জোর করে দেকানপাট বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। মারাঠা ক্রান্তি মোর্চার কর্মীরা বান্দ্রার বিভিন্ন জায়গায় দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ করে। যোগেশ্বরীতে ট্রেন লাইনে বসে পড়ে আন্দোলন কারীরা। তাদের সরিয়ে দেয় আরপিএফ।
এদিকে, লাতুরে বনধ সমর্থনকারীরা জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে দুদলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রায়গড় ও কামোথে বনধ সমর্থকরা বাইক মিছিল বের করে। দোকানপাটের ওপরে পাথর ছোংড়াও অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন-মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় তৃতীয় চুঁচুড়ার রিম্পা
আন্দোলনকারীরা মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় বাস ভাঙচুর করে বনধ সমর্থকরা। এখনও পর্যন্ত ৯টি সরকারি বাস ভাঙচুরের খবর পাওয়া যাচ্ছে। মালাডে ও ওয়াগলে ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, সোমবার গোদাবরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন কাকাসাহেব সিন্ডে নামে এক আন্দোলনকারী। তাতেই আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ওই মৃত্যুর পরই মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকায় বনধ ডাকে মুম্বই ক্রান্তি মোর্চা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৩৩ শতাংশ মানুষ মারাঠা সম্প্রদায়ের। চাকরি ও শিক্ষায় এদের ১৬ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। কিন্তু মারাঠা সংগঠনগুলির দাবি তাদের পিছিয়েপড়া শ্রেণির মর্যাদা দিতে হবে।