বিধানসভা ছেডে় বেরিয়ে গেল ফডণবীসের নেতৃত্বে বিজেপি, আস্থা ভোটে জয়ী শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট
অধিবেশনের শুরুতেই দুটি বিষয়ে আপত্তি তোলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস
নিজস্ব প্রতিবেদন : আস্থাভোটে তুমুল হই হট্টগোল। তোলপাড় মহারাষ্ট্র বিধানসভা। ভোটাভুটির আগেই সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন দেবেন্দ্র ফডণবীসের নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। ফলে একপ্রকার ফাঁকা বিধানসভাতেই উদ্ধব ঠাকরের পক্ষে ভোট দিয়ে দিলেন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস বিধায়করা। আস্থাভোটে জয়ী হল শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি- জোট মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি। আগাড়ির পক্ষে ভোট ১৬৯টি। ভোটদানে বিরত থাকেন ৪ বিধায়ক।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে আজ ফাঁকা মাঠে শক্তিপ্রদশর্ন সেনা-কংগ্রেস-এনসিপির
Total votes in favour of #MahaVikasAghadi Government are 169. https://t.co/4COWoHgoq3
— ANI (@ANI) November 30, 2019
শনিবার অধিবেশনের শুরুতেই দুটি বিষয়ে আপত্তি তোলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। তিনি বলেন, সভায় শুরুতে বন্দেমাতরম গাওয়া হয়নি। তাই নিয়ম ভেঙেছে বিধানসভা। পাশাপাশি আস্থাভোটের একদিন আগেই কেন প্রটেম স্পিকার বদল করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফডণবীস। তিনি বলেন, ভারতে এমন কোনও বিধানসভা নেই যেখানে আস্থা ভোটের আগে এই ধরনের কাণ্ড ঘটল। ভোটাভুটি হওয়া উচিত স্থায়ী স্পিকারের নেতৃত্বেই। বিধায়করা পাল্টি খেতে পারেন এই আশঙ্কাতেই তড়িঘড়ি ভোট করিয়েছে জোট সরকার।
BJP leader Devendra Fadnavis: We are going to submit a letter to the Governor asking him to suspend the proceedings of the House, and that the House should follow the Constitution. #Maharashtra https://t.co/OJgq74SnVW
— ANI (@ANI) November 30, 2019
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল বি এস কোসিয়ারি। ততদিন অপেক্ষা না করে শনিবারই ক্ষমতা প্রদর্শন করে জোট। আস্থাভোট উপলক্ষে দলের বিধায়করদের ওপরে হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস, এনসিপি ও শবিসেনা। এদিন অধিবেশেন ফডণবীসের বক্তব্যের পরই বিধানসভা তোলপাড়া করেন বিজেপি বিধায়করা।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। এর সঙ্গে তিন দলের ২ জন করে বিধায়কও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।
আরও পড়ুন-খাস কলকাতায় কালীঘাটে দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণ
এই মুহূর্তে ৩ দলের হাতে বিধায়ক রয়েছে ১৫৪। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে দরকার ১৪৫। সূত্রে খবর, নির্দল বিধায়কদের সমর্থন মিলতে পারে তাদের। কং-সেনা-এনসিপি জোট প্রায় ১৬৫ বিধায়ক নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে পারে বিধানসভায়।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। ‘প্রাক্তন’ শরিক শিবসেনার ৫৬ বিধায়ক নিয়ে অনায়াসে সরকার গড়তে পারতো। মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে বিরোধ বাধায় এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর এনসিপি, কংগ্রেসের সঙ্গে চলে শিবসেনার বিস্তর আলোচনা। তারমধ্যেই রাতারাতি এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ারের হাত ধরে সরকার গড়ে বিজেপি।
রাজ্যপাল এবং দেবেন্দ্র ফডণবীসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে পরেই ডেপুট পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারার আশঙ্কা করেই আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফডণবীসও।