দশ জনপথে মমতা, শুক্রবার বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলাপ-আলোচনার পর্ব। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দিনভর তা নিয়েই ছিল চূড়ান্ত ব্যস্ততা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় সোনিয়া গান্ধী, মুলায়ম সিং যাদব এবং আহমেদ প্যাটেলের।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলাপ-আলোচনার পর্ব। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দিনভর তা নিয়েই ছিল চূড়ান্ত ব্যস্ততা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় সোনিয়া গান্ধী, মুলায়ম সিং যাদব এবং আহমেদ প্যাটেলের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে হলে কংগ্রেসের সমর্থন প্রয়োজন তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির। মূলায়ম সিং যাদবের পর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা এগিয়ে রাখলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিন প্রথমে ১০ জনপথে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠক শেষে সোনিয়া গান্ধী জানান, তাঁরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে এখনও পর্যন্ত কোনও নাম চূড়ান্ত করা হয়নি। সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে সরকারের ২ প্রধান শরিকের মধ্যে আলোচনা। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
এরপর তিনি যান সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলের বাড়ি। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনার পর সোনিয়ার নির্দেশেই আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে এই বৈঠক হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের থেকেও এই বৈঠকে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে রাজ্যের দাবি। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের থেকেও মূল আলোচ্য বিষয় হবে রাজ্যের সুদ মকুব ও আর্থিক প্যাকেজ প্রসঙ্গগুলি।
তাহলে শেষপর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী কে? তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান বাঙালি কাউকে রাষ্ট্রপতির পদে বসাতে। সেক্ষেত্রে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম কংগ্রেস চূড়ান্ত করলে কোনও আপত্তি থাকবে না তাঁর। এমনকী সোনিয়া গান্ধীকে সেকথা জানিয়েও এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, ইউপিএ`র `ক্রাইসিস ম্যানেজার`কে কি আদৌ ছাড়বেন সোনিয়া গান্ধী? এটাই এখন জাতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।