রাজ্যে লড়াই হলেও জাতীয়স্তরে কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে জোটবার্তা মমতার

দিল্লিতে যন্তরমন্তরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ধরনামঞ্চ থেকে জোটবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 

Updated By: Feb 13, 2019, 07:14 PM IST
রাজ্যে লড়াই হলেও জাতীয়স্তরে কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে জোটবার্তা মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের পর কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে জাতীয়স্তরে জোটের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে লড়াই থাকলেও জাতীয়স্তরে জোটে রাজি তিনি। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, সপা-বসপার পর কি এবার চিরশত্রু সিপিএম-তৃণমূলকে মিলিয়ে দেবেন নরেন্দ্র দামোদার মোদী?  

দিল্লিতে কেজরিওয়ালের ধরনায় হাজির হয়ে মমতার বার্তা, মোদীকে হঠাতে এককাট্টা হয়ে লড়াই করতে হবে। সিপিএম, কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যে লড়াই হলেও জাতীয়স্তরে জোটে আপত্তি নেই তাঁর। দেশ বাঁচাতে আত্মত্যাগে রাজি বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, ''দেশজুড়ে জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চলছে। নরেন্দ্র মোদী স্বপ্ন দেখাতে পারেন না, দেশ ভাঙতে পারেন। দেশকে আমরা একজোট রাখতে চাই। এককাট্টা হয়ে লড়ব। রাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করলেও জাতীয়স্তরে একসঙ্গে থাকব। আমি বড় মনে সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার বিরুদ্ধে লড়াই করো কিন্তু দেশের স্বার্থে জীবন দিতে রাজি। দলকেও উত্সর্ করে দেব। আমি নাও থাকতে পারি। সাধারণ কর্মী হিসেবেই নিশ্চিত করব, মোদী যাতে না আসে। মোদী হঠাও দেশ বাঁচাও''।     

তৃণমূল কংগ্রেসের দেশের অন্য প্রান্তে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, ''আমি অনেক আসনে লড়াই করতে পারি। কিন্তু করি না। যেখানে অন্য দল শক্তিশালী, সেখানে ভোট বাঁটোয়ারা করব না। রাজ্যে একাই লড়াই লড়ব। যদিও আমার বিরুদ্ধে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এক হয়ে লড়বে। এসব অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ৪২-এ ৪২টি আসন পাব। যেখানে যে রাজনৈতিক দল শক্তিশালী, সেখানে তিনি লড়াই করবেন। উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা, দিল্লিতে আপ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে ওরা লড়াই করবে। দিল্লিতে সাতে সাত করতে হবে আপকে''। 

আরও পড়ুন- মমতাকে ব্যঙ্গ পোস্টারে 'স্বাগত' জানাল দিল্লি, নেপথ্যে বিজেপি?

মমতা আরও বলেন, ''আজই সংসদের শেষ দিন ছিল। এই সরকারের মেয়াদ আর ২০ দিন। আর কদিন এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাতে পারবে না। এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গিয়েছে। ভয়ের আর কোনও কারণ নেই। মিডিয়ার মুখবন্ধ করছে। উনি কাউকে বিশ্বাস করেন না। জয়েন্ট সেক্রেটারি থেকে আইপিএস, আইএএস, অফিসারদেরও বিশ্বাস করেন না। মন্ত্রীদের উপরেও চলছে নজরদারি। ব্যপম কেলেঙ্কারিতে কত লোককে মেরে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে পুলিসকে মেরেছে। আমাদের ওখানে বলে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পদক ফেরত নেওয়ার কথা বলছেন। এত সাহস! পুলিস কমিশনারের ঘরে সিবিআই পাঠিয়ে দিল। অনেক সরকার দেখেছি। এত নিন্মমানের সরকার দেখেনি। আমরা চোর, আর আপনি সাধু? গান্ধীকেও মানে না এরা। দুটো গব্বর আছে। এদের হাতে লেগে রয়েছে রক্ত''।

.