দিল্লিতে দরবার মুখ্যমন্ত্রীর, বাড়ল যোজনা বরাদ্দ

রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে হল ২৫,৯১০ কোটি টাকা। যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য, কৃষি ও সড়কে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে যোজনা বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ২৫,৯১০ কোটি টাকা।

Updated By: Apr 10, 2012, 08:36 AM IST

রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে হল ২৫,৯১০ কোটি টাকা। যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য, কৃষি ও সড়কে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে যোজনা বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ২৫,৯১০ কোটি টাকা। রাজ্যের সব প্রস্তাব যোজনা কমিশন মেনে নিয়েছে বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। চলতি আর্থিক বছরে রাজ্যের জন্য ব্যায় বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে মঙ্গলবার দিল্লিতে যোজনা কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যের জন্য ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে সাধারণত যোজনা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তবে, তাঁর ওপর ভরসা না রেখে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সরাসরি কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত আর্থিক বছরে রাজ্যের জন্য ২২,২১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল যোজনা কমিশন। রাজ্য সরকারের দাবি ছিল, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রথম বছরে বরাদ্দ বাড়িয়ে সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা করা হোক।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, তৃণমূলের সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষে নিজেদের প্রার্থীকে জেতানো বেশ কঠিন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই অবস্থায় কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলতি অর্থবর্ষের শুরুতেই ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিলেন তিনি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে গত ১০-১১ মাসে গ্রাম বাংলায় উন্নয়নের গতি অনেকটাই শ্লথ। ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যোজনা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দিল্লি নিয়ে যান তিনি।

.