বিজেপিকে রুখতে আপত্তি নেই সিপিআইএম-র সঙ্গে জোটেও, ২৪ ঘণ্টাকে ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
তেল আর জলের মতোই মিশ খায় না সিপিআইএম আর তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব পারেন, কিন্তু সিপিআইএমের হাত ধরবেন না। রাজ্য রাজনীতির গত তিন দশকের এই সত্য আজ অতীত। সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে দেশ বাঁচাতে এমনকি বামেদের সঙ্গেও সমঝোতায় রাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্যুরো: তেল আর জলের মতোই মিশ খায় না সিপিআইএম আর তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব পারেন, কিন্তু সিপিআইএমের হাত ধরবেন না। রাজ্য রাজনীতির গত তিন দশকের এই সত্য আজ অতীত। সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে দেশ বাঁচাতে এমনকি বামেদের সঙ্গেও সমঝোতায় রাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই সিপিআইএম বিরোধিতা। তিন দশকের প্রাণপণ লড়াইয়ে উত্খাত করতে পেরেছেন বামফ্রন্ট সরকারকে। সেই পরিবর্তনের তিন বছরের মাথায় উল্টে গেল ছবিটা। দিল্লিতে নেহরু জয়ন্তী উপলক্ষ্যে সোনিয়া গান্ধীর অনুষ্ঠানে, কথা বললেন মমতা-সীতারাম।
সীতারাম ইয়েচুরিকে মমতা বলেন, বিজেপি বাংলা দখল করছে। আপনারা কী করছেন?
হাল্কা ছলে সীতারামের জবাব ছিল, বিজেপিকে রাজ্যে এনেছেন তো আপনারাই?
এই বাক্যালাপ যে নেহাত সৌজন্য বিনিময় নয়, তাও স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
যাঁরা পরস্পর মুখদর্শন করতেন না, কেন তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন একমঞ্চে আসতে? রাজ্যে বিজেপির উত্থানই এর কারণ। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসার পর উজ্জীবিত রাজ্য বিজেপি। তাদের রাজনৈতিক ভাবে রুখতে তাই বামেদের প্রতি নরম হয়েছেন মমতা। কয়েকমাস আগেই সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ জানাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বাম প্রতিনিধিরা পেয়েছিলেন ফিসফ্রাই আর ক্রিমরোলের সাদর আমন্ত্রণ। চব্বিশ ঘণ্টায় এক একান্ত সাক্ষাত্কারেও মমতা বুঝিয়েছিলেন জোটে আপত্তি নেই তাঁর।
তবে কি তিন বছরেই মিটে গেল তিন দশকের শত্রুতা? উত্তর দেবে ভবিষ্যত।