মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মানিক সরকার
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সরকার। একই সঙ্গে শপথ নেয় ত্রিপুরার সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার। এই নিয়ে টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনিই দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী। আজ বিকেল ৩ টেয় আগরতলা রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সরকার। একই সঙ্গে শপথ নেয় ত্রিপুরার সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার। এই নিয়ে টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিচ্ছেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনিই দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী। আজ বিকেল ৩ টেয় আগরতলা রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।
রাজনৈতিক নির্বাসনে যাওয়া তো দূরের কথা, তাঁর হাতেই টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ত্রিপুরার মানুষ। যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা কী বলছেন? তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার রাজনৈতিক ভাবে বিরোধী শিবিরেও আছেন। তবে পরিবর্তন হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানিজ্যে স্নাতক, ১৯৬৭-তে রাজনীতিতে আসা মানিক সরকার সিপিআইএমের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক থাকার সময়ও ছিলেন এই বাড়িতেই।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মানিক সরকারই দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যাঁর নিজস্ব গাড়ি নেই। নিজস্ব বাড়িও নেই। মা মারা যাওয়ার পরে পৈতৃক বাড়িটা দিয়ে দিয়েছেন বোনকে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আছে ১০ হাজার ৮০০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর বেতনটা দিয়ে দেন দলকে। সর্বক্ষণের কর্মীর ভাতা বাবদ দল দেয় মাসে ৫ হাজার টাকা। স্ত্রী পাঞ্চালি ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি। ব্যাঙ্ক তাঁর নামে আছে সব মিলিয়ে ২৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪১০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে লাল আলো দেখা যায় না। তাঁর স্ত্রীকে রিকশা ছাড়া অন্য গাড়িতে চড়তেও দেখা যায় না। কিন্তু বাজারে রীতিমতো দরদাম করে জিনিস কিনতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীকে।