দুর্নীতি ইস্যুতে কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রীর আত্মপক্ষসমর্থন
দুর্নীতি ইস্যুতে সাঁড়াশি চাপে ইউপিএ সরকার।
দুর্নীতি ইস্যুতে সাঁড়াশি চাপে ইউপিএ সরকার। একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার টিম আন্না। অন্যদিকে এই ইস্যুতেই রথযাত্রায় বেরিয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। এই দ্বিমুখী চাপের মুখে দুর্নীতি দূর করতে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর বক্তব্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লডাইয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত দোষ আর অনিচ্ছাকৃত ভুলের মধ্যে পার্থক্য করা উচিত। শুক্রবার দিল্লিতে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে পাশে বসিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
দুর্নীতিদমনে গত পাঁচ বছরে ইউপিএ সরকার যে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে সেই উল্লেখ করতেও ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে দুর্নীতিদমন এবং সরকারের পরিচালনা নিয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বিতর্ক বেড়েছে। বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে লোকপাল আইন চালু করার ব্যাপারেও। ফলে প্রশাসনের উঁচু তলায় স্বচ্ছতা আনার বিষয়টিকে সরকারও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এক শ্রেণির মানুষ গোটা বিষয়টিকে যেমন সমর্থন করছেন, আরেক শ্রেণির মানুষের আবার এ নিয়ে বিরোধিতা রয়েছে। কিন্তু আখেরে তা দেশের পক্ষেই ভাল বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। নাগরিক সমাজ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কাছ থেকেও এ ব্যাপারে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানই নয়, দুর্নীতি রোধ করার জন্য বেসরকারি সংগঠনগুলিকেও প্রস্তাবিত আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মনমোহন। বলেছেন, কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টিকে ফৌজদারি আইনের তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে।
কিন্তু মুখে তিনি যতই নিজের প্রশাসনের প্রশংসা করুন না কেন, বাস্তব বলছে অন্য কথা। একদিকে আন্না হাজারের অনশনের আতঙ্ক, অন্যদিকে আডবাণীর রথযাত্রার চাপ-এই জোড়া ফলার সামনে এখন কার্যত বেসামাল দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার।