সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করে নয়া শর্ত মাওবাদীদের
ওড়িশায় ইতালীয় পর্যটক অপহরণ কাণ্ডে এবার সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করল মাওবাদীরা। একই সঙ্গে সরকারকেও সংঘর্ষ বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)-র পলিটব্যুরোর তরফে। শর্তপূরণের সময়সীমা বাড়িয়ে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত করা হয়েছে।
ওড়িশায় ইতালীয় পর্যটক অপহরণ কাণ্ডে এবার সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করল মাওবাদীরা। একই সঙ্গে সরকারকেও সংঘর্ষ বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)-র পলিটব্যুরোর তরফে। শর্তপূরণের সময়সীমা বাড়িয়ে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত করা হয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য ৩ মধ্যস্থতাকারীর নাম প্রস্তাব করেছে মাওবাদীরা। তাঁদের মধ্যে একজন ঝাড়খণ্ডের জেলে বন্দি রয়েছেন।
মাওবাদীদের এই কৌশল ইতালীয় পর্যটক অপহরণ কাণ্ডে ওড়িশা সরকারকে আরও সমস্যায় ফেলে দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সোমবার রাতে মাওবাদীদের তরফে ওড়িশা সরকারের কাছে একটি অডিও সিডি পাঠানো হয়। তাতে মাওবাদীরা সংঘর্ষ বিরতিতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে সরকারকেও সংঘর্ষ বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। রবিবার সন্ধেয় শেষ হয়েছিল মাওদীদের শর্তপূরণের সময়সীমা। সরকারের কাছে পাঠানো সিডিতে আলোচনার জন্য ৩ মধ্যস্থতাকারীর নাম প্রস্তাব করেছে মাওবাদীরা। এঁরা হলেন, নারায়ণ সান্যাল, দণ্ডপানি মোহান্তি এবং বিশ্বপ্রিয় কানুনগো। এঁদের মধ্যে নারায়ণ সান্যাল ঝাড়খণ্ডের জেলে বন্দি রয়েছেন। তাঁকে মুক্ত করে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগের জন্য দাবি জানিয়েছে মাওবাদীরা।
ওড়িশা সরকার আগেই জানিয়েছে, পণবন্দি ইতালীয় পর্যটক বসচুসকো পোলো এবং ক্ল্যানডিও কোলানজিলোর মুক্তির স্বার্থে তারা মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি। পণবন্দি বিদেশিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য সোমবার ফের অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বস্তুত, এর পরই মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের কাছে মাওবাদীদের তরফে একটি লিফলেট পাঠানো হয়েছে। তাতে জেলবন্দি মাওবাদী নেতাদের মুক্তি এবং পুলিসি অভিযান বন্ধের দাবি তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে ওড়িশার আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে পর্যটকের যাতায়াত নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। এই পরিস্থতিতে আপাতত ওড়িশার জঙ্গলমহলে রাজ্য পুলিসের বিশেষ মাওবাদী দমন বাহিনী `স্পেশাল ওপারেশন্যাল গ্রুপ` (এসওজি)-এর অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে।