চিরস্থায়ী নয় তবে একলাই ভাল, ভোট ফুরোতেই বাবুয়ার হাত ছেড়ে বার্তা বুয়ার
মায়াবতী এ দিন অভিযোগ করেন, সমাজবাদী পার্টির কর্মীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল না। যে কারণে কৌনজ থেকে অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল যাদবকে হারতে হয়েছে বলে দাবি মায়াবতীর। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখলিশে যাদবের দুই ভাইপো অক্ষয় ও ধর্মেন্দ্র যাদবও পরাজিত হয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে একা লড়ার কথা বলেছিলেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন। লোকসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফল হওয়ায় মহাজোটের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন তিনি। এ দিন মায়াবতী জানান, জোটে কোনও লাভ হয়নি তাদের। উপরন্তু যাদব ভোট না পাওয়ায় বসপার ভোটব্যাঙ্কে চিড় ধরেছে।
মায়াবতী এ দিন অভিযোগ করেন, সমাজবাদী পার্টির কর্মীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল না। যে কারণে কৌনজ থেকে অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পল যাদবকে হারতে হয়েছে বলে দাবি মায়াবতীর। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখলিশে যাদবের দুই ভাইপো অক্ষয় ও ধর্মেন্দ্র যাদবও পরাজিত হয়েছেন। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বহেনজি বলেন, “উত্তর প্রদেশে মাটি ফিরে পেতে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত কাজ করেনি।” তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “বসপার ভোট কোনওভাবে হারানো যাবে না। ডিম্পল যাদব যেখানে হেরে গেছেন, জোট নিয়ে ভাববার বিষয় রয়েছে।” যদিও জোট ভাঙা নিয়ে মায়াবতী বলেন, “চিরস্থায়ী সিদ্ধান্ত নয়। এই মুহূর্তে একা চলাই আমাদের পক্ষে সুবিধাজনক।”
উল্লেখ্য, এ বারের নির্বাচনে মহাজোটে কংগ্রেসকে বাদ দেওয়ার কারণও একই ছিল। নির্বাচনের আগে মায়াবতী অভিযোগ করেছিলেন, পুরনো অভিজ্ঞতায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে গিয়ে তাঁর কোনও লাভ হয়নি। রায়বেরেলি ও অমেঠি ছাড়া উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মায়াবতী। এ বার তিন বারের সাংসদ রাহুল গান্ধীর ওই কেন্দ্র হাতছাড়া হয়। কিন্তু বিজেপিকে রুখতে বুয়া-বাবুয়ার কাছাকাছি আসা ছিল এ বারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ রসায়ন। বিজেপির ভোট কিছুটা কাটতে সক্ষম হয়েছে সপা-বসপা জোট। গতবার যেখানে শূন্য আসন পেয়েছিল, তা বাড়িয়ে ১০টিতে পৌঁছেছেন মায়াবতী। কিন্তু অখিলেশ সে দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৪-এর মতো এবারের ৫ টি আসনে সন্তুষ্ট থেকেছে সপা।
আরও পড়ুন- ভোট ফুরোতেই মুড়োলো বুয়া-বাবুয়ার সম্পর্কও! যাদব ভোট না পেয়ে একা লড়ার ইঙ্গিত মায়াবতীর
সামনেই ১১টি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে কিছুটা মাটি উদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন মায়াবতী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২২ উত্তর প্রদেশ বিধানসভাকে পাখি চোখ করেই এগোতে চাইছেন ৬৩ বছর বয়সী এই ধুরন্ধর রাজনীতিক। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জল্পনা তৈরি হলেও বিপুল জনমত পেয়ে জল ঢেলে দেয় মোদী-শাহ বিগ্রেড। কিন্তু উত্তর প্রদেশ তখত ‘ভাগাভাগি-তে’ যেতে চান না মায়াবতী। তাই আগেভাগে বাবুয়ার হাত ছেড়ে একলা চলার বার্তা দিলেন বুয়া।