জন্মদিনে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় `বহেনজি`
দোড়গোঁড়ায় নির্বাচন। জন্মদিনে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তায় স্বভবতই উঠল নির্বাচন প্রসঙ্গ। রবিবার নিজের ৫৬ তম জন্মদিনে কংগ্রেস ও নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী।
দোড়গোঁড়ায় নির্বাচন। জন্মদিনে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তায় স্বভবতই উঠল নির্বাচন প্রসঙ্গ। রবিবার নিজের ৫৬ তম জন্মদিনে কংগ্রেস ও নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। সম্প্রতি গোটা রাজ্য জুড়ে বহুজন সমাজ পার্টির দলীয় প্রতীক হাতি ও নিজের মূর্তি স্থাপনের জন্য নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখে পড়েছেন বিএসপি নেত্রী। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে, মায়াবতী ও তাঁর দলের প্রতীক হাতির মূর্তিগুলো কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বিএসপির বিরোধী দলগুলো পেয়েছে প্রচারের নয়া হাতিয়ার। স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচন কমিশনের উপর বেজায় চটেছেন `বহেনজি`। মূর্তি প্রসঙ্গে এদিন তাঁর দাবি, দলের প্রতীক হিসেবে তিনি হাতির মূর্তি স্থাপন করেননি। মূর্তিগুলি তাঁর দলের আদর্শ বাবু কাঁশিরামের স্মারক হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে মায়াবতীর বক্তব্য, চণ্ডীগড় পার্কে কংগ্রেসের প্রতীক স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভোটের মুখে দলের মূর্তি স্থাপন বিতর্ককে নেতিবাচক প্রচার হিসেবেও দেখছেন বিএসপি নেত্রী। নেতিবাচক প্রচারের জন্য নির্বাচন কমিশন ও বিরোধীদের ধন্যবাদও জানান মায়াবতী। বিরোধী দল ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনার পাশাপাশি এদিন উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেন বিএসপি নেত্রী। যার মধ্যে ৮৮ জন তফশিলি প্রার্থী, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রার্থী সংখ্যা ১১৩, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে ৮৫ জনকে ও উচ্চবর্গের প্রার্থী সংখ্যা ১১৭, এর মধ্যে ব্রাহ্মণ ৭৪ জন।