আন্দোলন চরম আকার নিলে দায় সরকারের, হুঁশিয়ারি মোর্চার

গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লিতে ধরনায় চরম হুঁশিয়ারি দিলেন মোর্চা নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়েই বিজনবাড়িতে রঙ্গিলা নদীর ওপর নতুন সেতু উদ্বোধন করতে গিয়ে মোর্চা নেতা বিমল গুরুং বলেন, "এখনও পর্যন্ত গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ চলছে। কিন্তু, যেকোনও সময় আন্দোলন চরম আকার নিতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকেই দায় নিতে হবে।"

Updated By: Jan 30, 2013, 12:24 PM IST

গোর্খাল্যান্ডের জন্য প্রয়োজনে গুলি খেতেও প্রস্তুত মোর্চা। আজ রাজ্য সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে মোর্চা সভাপতি বলেন, সরকার যদি পুলিস দিয়ে আন্দোলন প্রতিরোধ করতে চায়, তবে সংঘর্ষের পথে যেতেও মোর্চা রাজি। একই সুর শোনা গেছে দিল্লিতে ধরনায় বসা মোর্চা নেতৃত্বের গলাতেও। তাঁদের সাফ কথা, পাহাড়ে অশান্তির আগুন জ্বললে তার সব দায় বর্তাবে সরকারের ওপর।
মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়েই বিজনবাড়িতে রঙ্গিলা নদীর ওপর নতুন সেতু উদ্বোধন করতে গিয়ে মোর্চা নেতা বিমল গুরুং বলেন, "এখনও পর্যন্ত গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ চলছে। কিন্তু, যেকোনও সময় আন্দোলন চরম আকার নিতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকেই দায় নিতে হবে।"
একই সুর শোনা গিয়েছে দিল্লির ধরনা মঞ্চেও। মোর্চা নেত্রী আশা গুরুং, রোশন গিরির গলাতেও হুমকি শোনা গেছে। রোশন গিরি বলেন, "গতকালের ঘটনা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে"। এমনকী, বিজনবাড়ি সেতুর উদ্বোধনেও একই হুমকি শোনা গেছে বিমল গুরুংয়ের গলাতেও।
গত কয়েকদিন ধরেই যন্তর-মন্তরে ধরনা দিচ্ছেন মোর্চা নেতা-কর্মীরা। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে বিজেপিকে সক্রিয়ভাবে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করার অনুরোধ জানিয়ে গতকাল লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে দেখা করেন রোশন গিরি। সুষমা স্বরাজ-অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করার জন্য আজ সময় চেয়েছেন তাঁরা।
২০১১-র ২২ অক্টোবর। ভেঙে পড়েছিল বিজনবাড়ি সেতু। মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জনের। সদ্য ক্ষমতায় আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন ছুটে গিয়েছিলেন পাহাড়ে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পূর্ণ সমর্থন তখন তাঁর সঙ্গে। বুধবার সেই বিজনবাড়ি সেতুর উদ্বোধনে গিয়েই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের দামাম বাজিয়ে দিলেন মোর্চা সভাপতি। হঠাত্‍ কেন এতটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন বিমল গুরুং?
মঙ্গলবার তাঁর ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার দার্জিলিঙকে বাংলার অংশ বলে উল্লেখ করেছেন। আর তাতেই বেজায় চটেছেন মোর্চা নেতৃত্ব। পাহাড় বেয়ে সেই ক্ষোভের আগুন পৌঁছেছে দিল্লিতেও।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ উত্‍সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলা মোর্চা সমর্থকদের ধমকে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার মোর্চা সভাপতির হুঁশিয়ারি অশান্তির যে অশনি সঙ্কেত রেখে গেল, মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে তা বাধ মানবে তো? সংশয়ে রাজনৈতিক মহল।

.