উপনির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত মুকুল রায় ফের এড়ালেন মন্ত্রিসভার বৈঠক

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে যখনই কোনও বিতর্ক দানা বেধেছে, তখনই দায় নিতে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি থাকে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাতেই বারবার গরহাজির থাকেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়।

Updated By: Jun 7, 2012, 02:38 PM IST

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে যখনই কোনও বিতর্ক দানা বেধেছে, তখনই দায় নিতে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি থাকে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাতেই বারবার গরহাজির থাকেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। যেমন বুধবারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠককেও অনুপস্থিত ছিলেন মুকুলবাবু।
কেন্দ্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। একসময় ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। কিন্তু মন্ত্রিসভার প্রায় কোনও বৈঠকেই হাজির থাকেন না তিনি। ব্যতিক্রম হল না বুধবারও। বুধবার দেশের আর্থিক পরিস্থিতি-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর্থিক সংস্কার, মূল্যবৃদ্ধি সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু বৈঠকে গরহাজির মুকুলবাবু। কেন যাননি বৈঠকে? উত্তরপ্রদেশের মঠ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলীয় প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এমনটাই ব্যাখ্যা তৃণমূল শিবিরের। শুধু এই বৈঠকই নয়, ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়ার পর, দু-একটি বৈঠক ছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনও বৈঠকে যোগ দেননি রেলমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সংস্কার নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। পথে নেমে মিছিলও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই বিষয়গুলির প্রতিবাদ করার সবচেয়ে বড় মঞ্চ হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে দিনের পর দিন গরহাজির তৃণমূলের মন্ত্রী। সাধারণভাবে দেখা যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি হলেই, তার দায়ভার নিতে অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পাল্টা দাবি থাকে, সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি তৃণমূলকে।
 
বৈঠকে যদি ক্যাবিনেট মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে কি এমন দাবি যুক্তিসঙ্গত? কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক ছুঁয়েই নিতে হয়। সেই বৈঠকেই যখন তৃণমূলের প্রতিনিধি গরহাজির থাকেন, তাহলে কি এটা শুধুই দায় এড়ানোর চেষ্টা? কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুঘণ্টার বৈঠকেও থাকতে পারেন না মুকুলবাবু? তৃণমূলের অন্দরেও কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

.