এখনও টাটকা ২২ বছর আগের দুঃস্বপ্নের ক্ষত, ইয়াকুবের ফাঁসিতে কিছুটা স্বস্তিতে ওরা
কেউ আজ বিকলাঙ্গ। কারও বা জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। বাইশ বছর আগের সেই দিন এখনও ওঁদের কাছে দুঃস্বপ্ন। সেই মারণ হামলার অন্যতম নায়ক ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির খবরে এতদিনে যেন ওঁদের জ্বালা জুড়োলো।উনিশশো তিরানব্বইয়ের বারোই মার্চ। পরপর বিস্ফোরণে মুম্বই তছনছ। সেঞ্চুরি বাজারের কাছে মালকানি মহলে তখন নাতিকে খাওয়াচ্ছিলেন বিন্দুর মিরচন্দানি। সেদিনের স্মৃতি এখনও তাঁর মনে দগদগে।
ব্যুরো: কেউ আজ বিকলাঙ্গ। কারও বা জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। বাইশ বছর আগের সেই দিন এখনও ওঁদের কাছে দুঃস্বপ্ন। সেই মারণ হামলার অন্যতম নায়ক ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির খবরে এতদিনে যেন ওঁদের জ্বালা জুড়োলো।উনিশশো তিরানব্বইয়ের বারোই মার্চ। পরপর বিস্ফোরণে মুম্বই তছনছ। সেঞ্চুরি বাজারের কাছে মালকানি মহলে তখন নাতিকে খাওয়াচ্ছিলেন বিন্দুর মিরচন্দানি। সেদিনের স্মৃতি এখনও তাঁর মনে দগদগে।
বিস্ফোরণে জখম বিন্দুরের শরীরের বত্রিশটি ক্ষতস্থান থেকে বের করা হয় স্প্লিন্টার। তাঁর বাইশ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল এতদিনে।
নরেশ শরাফ তখন আঠাশের যুবক। ট্রেনে চড়ে দাদর যাওয়ার পথে বিস্ফোরণে ওলটপালট হয়ে যায় তাঁর জীবন।
কৃত্রিম পায়ে ভর করে জীবনের মুলস্রোতে ফিরতেই কেটে গিয়েছিল বছরসাতেক। কিন্তু নরেশের জীবন আর ছন্দে ফেরেনি।
ইয়াকুবের ফাঁসির খবরে তিনিও স্বস্তি পেয়েছেন ।
মালকানি মহলেরই বাসিন্দা কমলা মালকানি বিউটি পার্লার চালাতেন। বিস্ফোরণে সব হারিয়ে জীবনে ফেরার লড়াই চালিয়েছেন লাগাতার। ইয়াকুবের ফাঁসিতে তাঁরও অপেক্ষার পরিসমাপ্তি।