১০ কোটি তোলার হুমকি! বাংলার CID আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ব্যবসায়ীর
টাকা না দিলে ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়ছে। ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের একজন বাংলার সিআইডি অফিসার। যদিও ওই সিআইডির ইনস্পেক্টরের অবশ্য দাবি এমন কোনও এফআরআইয়ের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই।
পিয়ালি মিত্র: মুম্বইয়ের এক পানশালা ব্যবাসায়ীকে ১০ কোটি তোলা চেয়ে হুমকি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে চারজনের বিরুদ্ধে। যাদের মধ্যে একজন এ রাজ্যের সিআইডির এক ইনস্পেক্টর। ইতোমধ্যেই মুম্বই পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী। টাকা না দিলে ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়ছে বলেও অভিযোগ। যদিও ওই সিআইডির ইনস্পেক্টরের অবশ্য দাবি এমন কোনও এফআরআইয়ের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। মুম্বইয়ের কোলাবার এক পানশালা ব্যবসায়ীর থেকে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিক-সহ মোট ৪ জন। এমনকী, পানশালার মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি।
এর আগেও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল পুলিসের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছিল, অভিযোগকারী পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী। অভিযোগ, ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে দশটা। গতকাল, বুধবার সকালে নগদ ৩৩ লক্ষ ব্যাঙ্কে জমা করতে যাচ্ছিলেন তাঁর এক কর্মচারী। সঙ্গে ছিলেন আরও একজন। একবালপুরের ময়ূরভ়ঞ্জ রোডে তাঁদের পথ আটকান দুই ব্যক্তি। কেন? নিজেদের একবালপুর থানার কর্মী পরিচয় দিয়ে ব্যাগ তল্লাশি করতে চান তাঁরা। তারপর? ওই ব্যবসায়ীর কর্মচারী ও তাঁর সঙ্গীকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি হোটেলে! সেই হোটেলে হাজির হন আরও ২ জন। তাঁরাও নিজেদের একবালপুর থানার কর্মী বলেই পরিচয় দেয়। রীতিমতো মারধর করে নগদ ৩৩ লক্ষ টাকা লুঠ করে নেওয়ার পর, ওই দু'জনকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। থানায় অভিযুক্ত পুলিসকর্মীরা বলেন, ওই ব্যবসায়ীর কর্মী ও তাঁর সঙ্গীর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়!
দেবাশিস দাস নামে ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয় সল্টলেক পুলিস হাউজিং থেকে। একটি ডাকাতির ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয় অমিয় উপাধ্যায় নামে এক কনস্টেবল। তাকে জেরা করেই খোঁজ মিলেছে এই দেবাশিসের।
আরও পড়ুন, Mainpuri Lok Sabha bypoll: পরিবারের পাশে শিবপাল যাদব, ডিম্পলকে সমর্থনের আহ্বান সমর্থকদের